জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসহযোগিতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। সংবাদের বিষয়ে মন্তব্য নিতে গেলে তিনি প্রায়শই বলেন, ‘লিখিত দাও’। এছাড়া, তার সরকারি নম্বরে ফোন করলে সাড়া দেন পিএস কিংবা সহকারী রেজিস্ট্রাররা।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (জকসু) গঠনতন্ত্র প্রণয়নের বিষয়ে মন্তব্য চাইতে গেলে জাগো নিউজের প্রতিবেদক মো. তৌফিক হোসেনকে রেজিস্ট্রার বলেন, “লিখিত দাও”।
এদিন সন্ধ্যায় আরেক সাংবাদিক ফোন করলে তা রিসিভ করেন রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস)। তিনি জানান, “স্যার ব্যস্ত আছেন।” এর আগের দিন বাংলাদেশের খবর পত্রিকার প্রতিনিধি জান্নাতুন নাইম একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেন একজন সহকারী রেজিস্ট্রার, যিনি একইভাবে জানান, “স্যার ব্যস্ত।”
কালবেলা পত্রিকার প্রতিবেদক তানজিম মাহমুদ জানান, জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে গেলে তাকেও বলা হয় লিখিত দিতে। তিনি বলেন, “আমি কালবেলার রিপোর্টার বললে রেজিস্ট্রার বলেন—কালবেলা বা সকালবেলা যেই হও, পরে আসো।”
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রতিবেদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব অভিযোগ করেন, তথ্য অধিকার আইনে শিক্ষকদের বিষয়ে তথ্য চাইলে রেজিস্ট্রার তিন মাসেও সাড়া দেননি, বরং হয়রানি করেন। তার ভাষায়, “তিন মাস ঘুরিয়েছে, এখন ফোনও ধরেন না।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “প্রশাসনের সকলে সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত থাকেন। তবে সবাই তো সমান নয়। তথ্য নিতে চাইলে সাংবাদিকরা লিখিত দিতে পারেন। তবুও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আমি কথা বলবো।”
Leave a Reply