রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলালের বিরুদ্ধে। চাল না পেয়ে হতাশ ভুক্তভোগীরা চালের স্লিপ হাতে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও ফিরেছেন খালি হাতে।
ভুক্তভোগী শহর বানু, নছিয়া খাতুন, ছনেকা খাতুন ও ছামসুল হক জানান, “আমাদের হাতে স্লিপ থাকার পরও চেয়ারম্যান আমাদের চাল দেননি। ঈদের আগে ও পরে বারবার গিয়েও চাল মেলেনি। আমরা গরিব মানুষ, চাল না পেলে খাবো কী?”
সুবিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “নদীভাঙনে ঘর হারিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। চালের স্লিপ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার গিয়েছি, কিন্তু চাল পাইনি। আমরা সরকারের দেওয়া সাহায্য চাই।”
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় রৌমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪৭ হাজার ৯৮৪টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে চরশৌলমারী ইউনিয়নের জন্য ৬ হাজার ৭০০টি বরাদ্দ ছিল।
চরশৌলমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনছার আলী তুহিন জানান, “আমার ওয়ার্ডের বেশ কিছু মানুষ চাল পায়নি। বিষয়টি ট্যাগ অফিসারকে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি। চেয়ারম্যান গরিবদের চাল আটকে রেখেছে কেন, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চরশৌলমারী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, নামের বরাদ্দের চেয়ে ওই ৭নং ওয়ার্ডে বেশি নাম দেওয়া হয়েছিল। তারা সবাই চাল পেয়েছে। এখানে স্বচ্ছ এবং সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। চাল পায়নি বলে যেসব অভিযোগ করছে তা মিথ্যা, বানোয়াট।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টির খোঁজখবর নেওয়া হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply