স্বাস্থ্য ডেস্ক | কুড়িগ্রাম সংবাদ | ১৪ জুন ২০২৫
রোগীদের জন্য জরুরি রক্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করার পাশাপাশি দেশে রক্তভিত্তিক ওষুধ উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার চালু করতে যাচ্ছে ‘ওয়ান ব্লাড নেটওয়ার্ক’। পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাওয়া এই কার্যক্রমে রক্ত সংগ্রহের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় গঠিত এই নেটওয়ার্কে থাকবে স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতাদের একটি সমন্বিত ডাটাবেইজ, মোবাইল ব্লাড ভ্যানের মাধ্যমে রক্ত বিনিময়ের সুযোগ এবং ঢাকাসহ পাঁচটি বিভাগীয় শহরে গঠিত হবে ‘ন্যাশনাল ট্রান্সফিউশন সেন্টার হাব’।
এই উদ্যোগে যুক্ত থাকা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক জানান,
*“প্রাথমিকভাবে একটি সমন্বিত ডোনার ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যেই প্রায় তিন লাখ স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতার তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরাও ইউএসএসডি কোড—যেমন ১২৩# ডায়াল করে—নিজের এলাকার প্রয়োজনীয় ব্লাড গ্রুপের ডোনার খুঁজে পেতে পারেন। ডোনার খুঁজে পাওয়ার পর এসএমএসের মাধ্যমেও যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।”
স্বাস্থ্যখাতে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। চিকিৎসা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নেটওয়ার্ক চালু হলে গ্রাম-গঞ্জ বা প্রান্তিক অঞ্চলেও রক্তের জন্য ছোটাছুটি কমে আসবে, এবং রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সময় ও দুর্নীতিও নিয়ন্ত্রিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও আশা করছেন, ভবিষ্যতে এই সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে রক্তভিত্তিক ওষুধ যেমন ইমিউনোগ্লোবুলিন, ফ্যাক্টর এইট ও অ্যালবুমিন জাতীয় চিকিৎসার উপকরণ দেশেই উৎপাদনের পথে সরকার এগিয়ে যাবে।
Leave a Reply