ক্লাবের বিবৃতিতে র্যাটক্লিফ বলেন, ‘গত ১১৫ বছর ধরে আমাদের বর্তমান স্টেডিয়াম আমাদের অসাধারণ সেবা দিয়েছে। তবে বিশ্বমানের আধুনিক স্টেডিয়ামগুলোর তুলনায় এটি পিছিয়ে পড়েছে। বর্তমান মাঠের পাশে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের মাধ্যমে আমরা ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে পারব এবং একইসঙ্গে একেবারে অত্যাধুনিক একটি স্টেডিয়াম তৈরি করব, যা সমর্থকদের অভিজ্ঞতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।’
বিশ্বখ্যাত স্থপতি নরম্যান ফস্টার এই প্রকল্পের নকশা তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের অন্যতম চমৎকার প্রকল্প’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে সমর্থকদের অভিজ্ঞতা। তাদের মাঠের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে এবং এমনভাবে নকশা করা হবে, যাতে গ্যালারির গর্জন আরও শক্তিশালী হয়।’
এই প্রকল্পটি যুক্তরাজ্য সরকারের বৃহত্তর নগর উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ।
বর্তমানে ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগে ১৪তম অবস্থানে রয়েছে। ক্লাবটি কয়েক দশকের মধ্যে লিগে তার সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছানোর পথে রয়েছে।
ফুটবল মাঠের বাইরে নতুন প্রশাসন ক্লাবের বাজে আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে, কারণ ক্লাবের ঋণ অনেক বেড়ে গেছে।
একসময় ইউনাইটেড মাতানো ফুটবলার গ্যারি নেভিলকে নতুন স্টেডিয়াম প্রকল্পের টাস্কফোর্সের অংশ করা হয়েছে। তাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিম র্যাটক্লিফ বলেছেন, ‘নভেম্বরে কিছু না বদলালে ক্লাবের টাকা শেষ হয়ে যাবে।’
এজন্য ক্লাবটি বেশ কিছু খরচ কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে যেমন, শত শত কর্মী ছাঁটাই করা। তবে সমর্থকদের জন্য এটা সুখকর ছিল না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্লাবটি কর্মীদের ফ্রি লাঞ্চ বন্ধ করার পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ বোনাস কমানো এবং কিছু দান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘দ্য ওভারল্যাপ’ অনুষ্ঠানে নেভিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে র্যাটক্লিফ বলেন, “আমরা বালিতে মাথা গুঁজে রাখতে পারি না। আমাদের সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। এটি বড় সমস্যা, ছোট সমস্যা নয়।”
Leave a Reply