অনলাইন ডেস্ক:
প্রধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব। বাংলাদেশে এর আগেও অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। নির্বাচিত সংসদ পরবর্তীতে সেটির অনুমোদন দিয়েছে।”
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ৩৪ টি রাজনৈতিক দলের মতামত চেয়ে ঐকমত্য কমিশনের ঘোষণার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি ।
কমিশন থেকে মোট ১৬৬টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সুপারিশ ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত সুপারিশ ২০টি।
আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে মতামত দিতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হবে বা প্রাধান্য দেবে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, “প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো– সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো– ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এ তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দলগুলোর কাছ থেকে তাদের মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করবো। এজন্য এখনো পর্যন্ত আমরা কোন সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করিনি। যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে সেই সময় থেকেই আলোচনার শুরু হবে।”
আলী রীয়াজ বলেন, “এই প্রক্রিয়ার পরের ধাপ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই দ্রুত আলোচনা করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে।”
Leave a Reply