1. atik@kurigramsongbad.com : atik :
  2. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  3. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  4. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ‘লগি-বৈঠার পুনরাবৃত্তি হতে দেবো না পরিচ্ছন্ন শহর নির্মাণের শপথ নিয়েছে বিডি ক্লিন- কুড়িগ্রাম জেলা জবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনের নিন্দা ও উদ্বেগ মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ কুড়িগ্রামে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফট বিতরণ ও গণ সংযোগ  এসএসসি তে জিপিএ-৫ পেয়েও যেনো স্বপ্ন ঝরে যাবে মেধাবী রুশনি আক্তারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্যার’ ডাকার নিয়ম বাতিল করল উপদেষ্টা পরিষদ আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবির প্রতি শ্রদ্ধা বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ খুলছে খেয়ালখুশিমতো, সেবাবঞ্চিত এলাকাবাসী

শবে বরাতে রোজা রাখা কি সুন্নত?

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক:

হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়। একাধিক সহিহ হাদিসে এ রাতের মর্যাদা প্রমাণিত। সহিহ বর্ণনা অনুযায়ী এ রাতে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ নাজিল হয় এবং অসংখ্য বান্দাকে তিনি ক্ষমা করে দেন।

হাদিসের বর্ণনানুযায়ী, ‘আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন; অতঃপর তিনি তার সকল সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন, কেবল শিরককারী ও বিদ্বেষ-পোষণকারী ছাড়া। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩/৩৮২, হাদিস ৩৮৩৩)

অনেকে শবে বরাত উপলক্ষে অন্যান্য আমলের পাশাপাশি ১৫ শাবান রোজা রাখেন। বিষয়টি শরিয়তসম্মত কি না কিংবা শবে বরাতে কয়টি রোজা রাখা উত্তম জানার কৌতূহল রয়েছে অনেকের। এ সম্পর্কে হাদিসের নির্যাস হলো- শবে বরাতের তারিখ আইয়ামে বিজের (প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখ) অন্তর্ভুক্ত। সেই হিসেবে ১৫ শাবান (শবে বরাতের দিন) রোজা রাখা সুন্নত। তবে, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে রোজার কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা হাদিসে পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র একটি দুর্বল হাদিসে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘শবে বরাতের পরবর্তী দিনটিতে রোজা রাখ’। এই একটি মাত্র দুর্বল হাদিসের ওপর ভিত্তি করে শবে বরাতে একটি রোজা রাখাকে সুন্নত বা মোস্তাহাব বলা যায় না।

তাই শবে বরাতের পরের দিনসহ আইয়ামে বিজের রোজা হিসেবে তিনটি রোজা রাখাই সর্বোত্তম। কেননা এই তিন রোজা সম্পর্কে হাদিসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখা সারাবছর রোজা রাখার সমান।’ (বুখারি: ১১৫৯, ১৯৭৫)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধু রাসুলুল্লাহ (স.) আমাকে তিনটি অসিয়ত করেছেন—এক. প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা, দুই. দুই রাকাত চাশতের নামাজ পড়া, তিন. ঘুমের আগে বিতরের নামাজ পড়া।’ (সহিহ বুখারি: ১১৭৮)

অতএব, ১৫ শাবান তারিখে আইয়ামে বিজের একটি দিন হিসেবে রোজা রাখলে তা সুন্নত মনে করা যাবে। কিন্তু পৃথকভাবে শাবান মাসের ১৫ তারিখ বিশেষ দিন হিসেবে পৃথকভাবে এ দিনে রোজা রাখা সুন্নত―এমন ধারণা রাখা যাবে না।

শাইখুল ইসলাম মুফতি মুহাম্মাদ তাকি উসমানি (দা.বা) বলেন, ‘… শুধু ১৫ শাবানের কারণে এ রোজাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সুন্নত বলে দেওয়া অনেক আলেমের মতেই সঠিক নয়। আর সে কারণেই অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম মোস্তাহাব রোজার তালিকায় মহররমের ১০ তারিখ ও ইয়াওমে আরাফা (জিলহজের ৯ তারিখ) এর কথা উল্লেখ করেছেন। অথচ শাবানের ১৫ তারিখের কথা পৃথকভাবে কেউই উল্লেখ করেননি। বরং তারা বলেছেন, শাবানের যেকোনো দিনই রোজা রাখা উত্তম।

সুতরাং এ সকল বিষয়ের দিকে দৃষ্টি রেখে যদি কেউ রোজা রাখে, ইনশাআল্লাহ সে সওয়াব পাবে। তবে মনে রাখতে হবে যে, রোজা রাখার ব্যাপারে এ মাসের নির্দিষ্ট কোনো দিনের পৃথক কোনো বৈশিষ্ট্য নেই।’ (ইসলাহি খুতুবাত: ৪/২৬৭-২৬৮)

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর


Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!