কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের শাপলা চত্বরে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দেওয়ার পর সেখানে দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। লিজ সূত্রে মালিকানায় থাকা পরিবারের তত্ত্বাবধানে এই দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিক দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া ভবনের ইট সরানো হচ্ছে। অন্যদিকে কয়েকজন শ্রমিক টিনের বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখছেন। কাজের দেখাশোনা করছেন কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পাওয়ার হাউজ এলাকার বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে আমার বাবা মরহুম নসিয়ত উল্লাহ ব্যাপারী এই জমিটা সরকারের কাছে লিজ নিয়েছিলো। বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা দুই ভাই এই জমির লিজসুত্রে মালিক। এখানে ২০ বছর আগে আ.লীগের নেতারা আমাদের কাছে জায়গাটি ভাড়া নিয়ে তাদের অফিস করেছিলো। এরপর ৩ দফায় মেয়াদ বাড়িয়েছে তারা। তাদের কাছে জামানত নিয়ে দুইতলা একটা ভবন করে দিয়েছিলাম আমরা। ভাড়া নিয়ে কোন সমস্যা করেনি আ.লীগের নেতারা। ভবনটি ভেঙে দেয়াতে আমাদেরই লোকসান হয়েছে।
এই জায়গা এখন দোকানঘর দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখানে একটা দোকানঘর তুলবো। আপাতত জায়গাটা ঘিরে রাখছি। ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দলকে জায়গাটি ভাড়া দেওয়ার ইচ্ছা আমাদের নাই। লিজের সময় শেষ হলে সরকারকে জায়গাটা বুঝিয়ে দেবো।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙচুরের পর দেশের অনেক জায়গায় আ.লীগের অফিস ভাঙচুর সহ গুড়িয়ে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। ৬ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা কুড়িগ্রামের একাধিক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের পর রাতে আ.লীগের জেলা কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেন। এর আগে গত বছরের ৪ আগস্ট প্রথমবার হামলার শিকার হয় এই কার্যালয়টি।
Leave a Reply