আল জাজিরা
তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কি রিসোর্টের হোটেলে আগুন লেগে অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫১ জন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, বোলু প্রদেশের কার্তালকায়া রিসোর্টে হোটেলের রেস্তোরাঁয় রাতের কোনো এক সময় আগুন লাগে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আগুনে আমরা ৬৬ জনকে হারিয়েছি। এতে আরও ৫১ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে আহতদের মধ্যে অন্তত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেমাল মেমিসোগলু।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোলুর গভর্নর আব্দুল আজিজ আইদিন বলেন, ১১ তলা হোটেলের চতুর্থ তলায় স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লাগে। দমকলকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
আগুন লাগার কারণ তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলুকে আইদিন বলেন, হোটেলে ২৩৪ জন অতিথি অবস্থান করছিলেন। আগুন লাগার পর আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিগুলোতে হোটেলটির ছাদ ও ওপরের তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোটেলের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা সে সময় কাজ করছিল না।
ঘটনার সময় হোটেলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন আতাকান ইয়েলকোভান। তিনি সংবাদ সংস্থা আইএইচএকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী কিছু পোড়ার গন্ধ পেয়েছিলেন। ওই সময় কোনো অ্যালার্ম বাজেনি।’
আগুন লাগার পর দমকলকর্মীদের পৌঁছাতে প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যায় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “ওপরের তলাগুলোর লোকেরা চিৎকার করছিল। তারা জানালা দিয়ে বিছানার চাদর ঝুলিয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেন…কেউ কেউ লাফ দেওয়ার চেষ্টা করেন।”
ঘটনাটি তদন্তের জন্য সরকার ছয়জন প্রসিকিউটর নিয়োগ করেছে।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির খবরে বলা হয়েছে, হোটেলের বাইরের দিকের কাঠের আস্তরণের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ১৬১ কক্ষ বিশিষ্ট হোটেলটি একটি পাহাড়ের ধারে অবস্থিত হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলকর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা করা হয়েছে।
Leave a Reply