এছাড়া সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এজন্য বিজিবেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘটনার সময় বিজিবি সাউন্ড গ্রেনেড বা টিয়ারশেল ব্যবহার করতে পারেনি। এর কারণ বিজিবির কাছে এসব ছিল না। বিজিবির কাছে লেথাল উইপন ছিল, কিন্তু সেটা ব্যবহার করতে পারেনি। এজন্য বিজিবিকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ব্যবহারের পারমিশন দিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি এসব কেনা হবে। কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সীমান্তে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিজিবির সক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাই, বিজিবিকে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করা হচ্ছে। বৈঠকে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, অনুপ্রবেশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বিজিবির কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত অভিযোগ করছে বাংলাদেশ উসকানি দিচ্ছে। আমরা অভিযোগ করেছি যে তারা উসকানি দিচ্ছে।
অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিকদের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সার্কুলার দিয়ে জানানো হয়েছে যে অনুমোদন ছাড়া কোনো বিদেশি বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারবে না। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের অনুমোদন নেই, তারা অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারবে।
উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের ৩০ অক্টোবর তারিখে দেশে অবৈধ বিদেশি ছিলেন ৪৯ হাজার ২২৬ জন। গত ১৮ জানুয়ারি তারিখে সেটি কমে দাড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে। গত ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা এ খাতে জরিমানা করে রাজস্ব পেয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বিদেশিদের কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে অনুমোদন নিতে হবে। যারা অনুমোদন ছাড়া বিদেশিদের দিয়ে কাজ করাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন দরকার আছে ততদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।
Leave a Reply