ধর্ম ডেস্ক:
হাঁচি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত নিরাপত্তামূলক একটি বিশেষ শারীরিক ক্রিয়া, যা দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হাঁচি এলে মুমিনের জন্য আলহামদুলিল্লাহ পড়া সুন্নত। শুধু তা-ই নয়, কেউ হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ পড়লে তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ পড়াও সুন্নত। কোনো কোনো হাদিসে হাঁচিদাতার দোয়ার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ পড়াকে মুসলমানের হক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সামনে দুজন লোক হাঁচি দিল। তিনি তাদের একজনের হাঁচির জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বললেন; কিন্তু অন্যজনের জবাব দিলেন না। তিনি যার হাঁচির জবাব দেননি সে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল (স.), আপনি তার হাঁচির জবাব দিলেন, কিন্তু আমার হাঁচির জবাব দেননি। রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, সে তো (আলহামদুলিল্লাহ বলে) আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছে; কিন্তু তুমি তো আলহামদুলিল্লাহ বলোনি। (তিরমিজি: ২৭৪২)
নবীজি হাঁচির দোয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন। যেমন হাদিসে এসেছে, হাঁচি দেওয়ার পর হাঁচিদাতা বলবেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’। অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর।’ এরপর যিনি হাঁচি শুনবেন, তিনি বলবেন, ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন।’ তখন হাঁচিদাতা ফের বলবেন, ইয়াহদিকুমুল্লাহ ওয়া ইউসলিহু বালাকুম।’ অর্থ: ‘আল্লাহ আপনাদের সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।’ (বুখারি: ৫৮৭০)
তবে বারবার হাঁচি এলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। হাদিসে মূলত সাধারণ হাঁচিকেই নেয়ামত হিসেবে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে; অসুস্থতাজনিত হাঁচি নয়। সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রা.) সূত্রে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (স.)-এর কাছে বসে হাঁচি দিলে তিনি ইয়ারহামুকাল্লাহ বললেন। লোকটি আবার হাঁচি দিলে রাসুল (স.) বললেন, লোকটির ঠাণ্ডা লেগেছে। (আবু দাউদ: ৫০৩৭)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাঁচির উল্লেখিত দোয়াগুলোসহ নবীজির প্রত্যেকটি সুন্নত আঁকড়ে ধরার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Leave a Reply