1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ চাইছে: নাহিদ ইসলাম বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত বৈদ্যুতিক বাইক উন্মোচন করা হলো যুক্তরাষ্ট্রে রৌমারী থেকে ঢাকায় পাচারকালে শেরপুর থেকে প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিকের বই জব্দ করেছে পুলিশ কুড়িগ্রামে ত্রৈমাসিক জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোট(GECA) সভা অনুষ্ঠিত ট্রাম্প কি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বন্ধ করতে পারবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠক, বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা ১৬ বছর পর মুক্তি পেলেন ৩ বিডিআর জওয়ান, জামিন পাবেন আরও ১২৩ জন রাজারহাটে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন কুড়িগ্রামে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মাঝে কম্বল বিতরণ উলিপুরে নকল সন্দেহে ৪১৮ বস্তা টিএসপি সার জব্দ

ঢাবি ক্যাম্পাসের পানিতে মল-মূত্রের জীবাণু

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

ঢাবি প্রতিনিধি:

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের পানিতে পাওয়া গেল মল-মূত্রের জীবাণু।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে স্বপ্রণোদিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাবার পানির উৎসের ১০টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পাঁচটি নমুনা পরীক্ষার পর মিলেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য।

প্রতিটি নমুনার উপর মূলত ৭ ধরনের টেস্ট হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো কলিফর্ম (ফেকাল) ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নির্ণয় করা। ক্যাম্পাসের পানিতে ২ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ মাত্রার কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও এটি খুব বেশি দূষিত নয়, তবুও এর উপস্থিতি রোগজীবাণু থাকার সম্ভাবনা তৈরি করে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত, সংবেদনশীল ব্যক্তি যেমন: শিশু, বয়স্ক, বা দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্নদের জন্য এটি বিপজ্জনক।

পরীক্ষিত পাঁচটি নমুনার মধ্যে সবচেয়ে কম মাত্রার জীবাণু পাওয়া গেছে কলা ভবনের শ্যাডোতে প্রায় ২ মাত্রার, অতঃপর কার্জন হল সংলগ্ন নমুনায় পাওয়া গেছে ৬ মাত্রার জীবাণু, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে নেওয়া নমুনায় পাওয়া গেছে ৮ মাত্রার, জগন্নাথ হল থেকে ১০ মাত্রার এবং কবি জসীমউদ্দিন হল থেকে পাওয়া গেছে ১৪ মাত্রার জীবাণু। অথচ বাংলাদেশে প্রচলিত মান অনুযায়ী এটি থাকা উচিত একেবারে শূন্যের কোঠায়।

ইয়ামিন জানান, কিছুদিন আগে আমি স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাদের ক্যাম্পাসের খাবার পানির মান টেস্ট করার জন্য ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে পানির স্যাম্পল সংগ্রহ করি। প্রত্যেকটা স্যাম্পল এর উপর মূলত ৭ ধরনের টেস্ট হয়। তার মধ্যে কলিফর্মের পরীক্ষায় আমরা জীবাণুর অস্তিত্ব পাই।

কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উৎস কি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্যুয়ারেজ বা নর্দমার মিশ্রণ, গবাদি পশুর খামারের বর্জ্য, অপর্যাপ্ত বা লিকেজযুক্ত সেপটিক ট্যাংক, দূষিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা প্রভৃতি থেকে এটা হতে পারে। এ থেকে উত্তরণের জন্য নিয়মিত পানি ফুটানো, ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার, ফিল্টার ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, কলিফর্ম হলো একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা সাধারণত মানুষের ও প্রাণীর মল, মূত্র এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থে পাওয়া যায়। কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে পানিতে ফেকাল দূষণ ঘটেছে এবং তা পানির মাধ্যমে রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথজেনিক জীবাণুর উপস্থিতি নির্দেশ করে। রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী এমন বিভিন্ন প্যাথোজেন যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার সম্ভাব্য উপস্থিতির সংকেত দেয়। ফেকাল কলিফর্মযুক্ত পানি বা খাদ্য গ্রহণ করলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, কলেরা এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি থাকে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!