কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ সাথীদের ওপর সাদপন্থিদের হামলা ও হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সব মসজিদে সাদপন্থিদের কার্যক্রম বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর কুড়িগ্রাম জেলা শহরের প্রধান ঈদগাহ মাঠে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম, তাবলিগের সাথী ও তৌহিদি মুসলিম জনতা।
সমাবেশে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনাসহ সাদপন্থিদের সব কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান তারা।
নামাজের পর মুসল্লিরা ঈদগাহ মাঠে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে ঈদগাহ মাঠেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
এসময় বক্তব্য দেন, বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজক মাওলানা আবু বক্কর, আব্দুর রহিম, মুক্তি জামান উদ্দিন ও অলিউল্লাহ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দিল্লির তাবলিগের নেতা মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে আসার বিরোধিতা করে আসছেন ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের পরামর্শক দল শুরায়ে নেজাম। যার অন্যতম নেতা মাওলানা জোবায়ের। তাদের দাবি মাওলানা সাদ তাবলিগের মাধ্যমে নিজের মনগড়া চিন্তা ছড়াচ্ছেন যা কোরআন ও হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কিন্তু মাওলানা সাদের অনুসারিরা তাদের নেতাকে আনতে জোর দাবি জানান এবং শুরায়ে নেজামের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেন।
শুরায়ে নেজাম ও সাদ অনুসারীদের এ বিরোধিতার কারণে তাবলিগ জামাত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ইজতেমার মাঠ দখলে নিতে সাদপন্থিরা ২০১৮ সালেই ইজতেমার মাঠে হামলা করলে দুইজন নিহত হন। সরকার পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালে সাদপন্থিরা আবারও মাঠ দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় ইজতেমার মাঠে সাদপন্থিদের হামলায় তাবলিগের আরও ৪ জন নিহত হন।
তাই দেশব্যাপী ওলামায়ে কেরাম, শুরায়ে নেজামের অনুসারী ও সাধারণ মুসলমান এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি জানাচ্ছেন।
Leave a Reply