কুড়িগ্রাম সংবাদ ডেস্ক:
উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডন পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের রাজ পরিবারের এয়ারবাস এ৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশে পাড়ি জমান তিনি।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্সও ছিলেন।
এছাড়া, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বোর্ডের ছয় সদস্য—প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদার, প্রফেসর এফ এম সিদ্দিক, প্রফেসর নুরুদ্দিন আহমেদ, ড. জাফর ইকবাল, প্রফেসর এ. জে. এম. জাহিদ হোসেন, এবং ড. মোহাম্মদ আল মামুনও তার সঙ্গে বিমানে ছিলেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারসহ তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
খালেদা জিয়ার যাত্রার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ, র্যাব, ডিএমপি, ডিবি ও সোয়াট টিম থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনসহ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
২০২১ সালের শেষ দিকে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকেই তার চিকিৎসকরা বিদেশে তার চিকিৎসার পক্ষে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আইনি বাধার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের একদিন পর ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের আদেশে খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্তি পান।
২০০৮ সাল থেকে সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন তারেক রহমান।
কারাবন্দি হওয়ার আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন। তখনই শেষবার সরাসরি দেখা হয়েছিল মা-ছেলের। সেসময় তিনি তিনমাস লন্ডনে অবস্থানকালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান এবং তাদের সঙ্গে ঈদ-উল-আজহা উদযাপন করেন।
Leave a Reply