কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
৭ই জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে শহীদ ফেলানী হত্যা দিবসে বহুল আলোচিত এই ভারতীয় নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
দুপুরে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংগঠনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার প্রচার সমন্বয়ক মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপি জমা দেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ ছিল, ২০১১ সালে ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে শহীদ ফেলানিকে নির্মমভাবে হত্যা করে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রাখে ভারতীয় বিএসএফ। ১৩ই আগস্ট এই হত্যা শুরু হয় সেপ্টেম্বর অলৌকিকভাবে বিএসএফ সদস্যদের নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। শহীদ ফেলানীর বাবা মা প্রত্যাখ্যান করেন।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ ছিল, ২০১৪ সালে ২২ সেপ্টেম্বর কোন পুনর্বিচার নামক আহসন শুরু করে ভারত। প্রভাব খাটিয়ে পরের বছর দুই প্রধান আসামি আমীয় ঘোষ সহ কি আসামিদের আবারো নির্দোষ ঘোষণা করে । নতজানু আওয়ামী সরকার এরাই মেনে নেয় কিন্তু রায় ভারতের কাছে পরাজিত হয় সারা বাংলাদেশ।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার প্রচার সমন্বয়ক মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতের সাথে চোখে চোখ রেখে যে সম্পর্কের কথা আমাদের বলা হচ্ছে ফেলানী হত্যার বিচার অমীমাংসিত রেখে সেটা কোনভাবেই সম্ভব না। ভারতের সাথে আওয়ামী সরকারের পদলেহনকারী অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্য ফেলানী হত্যার সুবিচার নিশ্চিত করা ছাড়া কোন উপায় নেই। কারণ আমরা ফেলানী নামটা কোন ব্যক্তির নাম মনে করি না এটি সারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার রাজনৈতিক সমন্বয়ক শাহ আব্দুল মোমেন বলেন, ভারতের সীমান্তের প্রচুর বাংলাদেশী নাগরিক গুলি করে হত্যা করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সনদ অনুযায়ী বেআইনি। কেউ যদি অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে বা কোন অন্যায় করে ভারতের আইন অনুযায়ী তার বিচার হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে নির্বিচারে গুলি করে মারা একবারেই অমানবিক। ফেলানী হত্যাকান্ড এরকমই একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
সংগঠনটি জেলা সমন্বয়ক খন্দকার আরিফ বলেন, এর আগে ভারত ও আওয়ামী লীগ সরকার বিচারের নামে যে প্রহসন করেছে সেটা আমরা সহ পুরো বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের দাবি এই গণঅভ্যুত্থানের সরকার আন্তর্জাতিক দপ্তর গুলোর সাথে আলোচনা করে ফেলানী হত্যার বিচার করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে।
স্মারকলিপিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলার পক্ষ থেকে ফেলানি বিচার পুনরায় শুরু করে আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান বাংলাদেশবাসীকে ন্যায় বিচার উপহার দেওয়ার জোর দাবি জানায়।
Leave a Reply