ফাহিম হোসেন রিজু
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে, সড়কে বেড়েছে ডাকাতি-ছিনতাই ও রাহাজানী। প্রতি রাতেই কোন না কোন সড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মানুষ জান মাল নিয়ে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। এখন সন্ধ্যার আগেই রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে। রাস্তায় বের হলেও পড়তে হচ্ছে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কবলে।
গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও মানুষ যেতে পারছেন না। তবে আইনশৃঙ্খলার নাজুক অবস্থা, পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে?
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। চিহ্নিত ছিনতাইকারী সাগর এবং ৩ জন পেশাদার ট্রান্সমিটার চোরকে এলাকার সাধারন জনগন চুরির সরঞ্জামসহ আটক করে ৩নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এসব চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
পুলিশের পর্যাপ্ত টহল না থাকায় চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে, কিছুদিন পুলিশি টহল নিষ্ক্রিয় থাকলেও এখন এলাকায় পুরোদমে কার্যক্রম চলছে।
গত এক মাসে প্রায় ১০টিরও বেশি চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাণীগঞ্জ-ডুগডুগী সড়কের ভাত ছালা নামক স্থানে গাছ ফেলে ডাকাতি করে। ২৫শে ডিসেম্বর রাতে ১০ থেকে ১১ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ঘোড়াঘাট-রাণীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কলাবাড়ী সড়কের ওপর রশি দিয়ে মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে ডাকাতি শুরু করে। ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে মোটর সাইকেল সহ পথচারী, যাত্রী ও কয়েকজনকে জখমের পাশাপাশি মারধর করে মোবাইল ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায় । ডাকাতদের হামলায় কয়েকজন আহত হন। মালিককে বেঁধে রেখে ২৫ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চেংগ্রামের মৃত অফুর উদ্দিনের ছেলে সাবদুল ইসলামের ২টি ফ্রিজিয়ান জাতের বিদেশী গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ২৬শে ডিসেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট-রাণীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে নিতাইশাহ পুকুর নামক স্থানে গাছ ফেলে যানবাহনে গণ ডাকতির চেষ্টা করে। ২৭ ডিসেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট-রাণীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্গাপুর নামক স্থানে ডাকাতি সংঘটিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, আগে এলাকায় পুলিশি টহল থাকার কারণে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই ছিল না। গভীর রাতেও মানুষ রাস্তাঘাটে চলাচল করতো। এখন সন্ধ্যার আগেই রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে। রাস্তায় বের হলেও পড়তে হচ্ছে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কবলে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও মানুষ যেতে পারছেন না।
উপজেলার বেশ কয়েকটি পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও গত ৫ আগস্ট পর পুলিশ ফাড়ির পুলিশ এক রকম নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply