মাসুদ রানা স্টাফ রিপোর্টার:
শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে শীতকষ্টে পড়েছে মানুষজন। তবে গত দু’দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও। গতকাল বৃহস্পতিবরি সকাল ৯ টায় এ উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অবহাওয়া অফিস।
কনেকনে ঠান্ডায় শীত কষ্টে পড়েছে এ উপজেলার হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমিজীবি মানুষেরা। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এ উপজেলা।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর আলী বলেন, দুইদিন থাইকা সূর্যের দেখা নাই। কামাই রোজগার নাই। খুব ঠান্ডা, গাড়ি চালান যায় না। বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি আমরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মবর্তা শামসুদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় শীত নিবারনে জন্য এক হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে ৮শ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ৩শ কম্বল বিতারণ চলমান রয়েছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। এ মাসেই ২-৩টি শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশায় এ উপজেলার হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমিজীবি মানুষের সকল কার্যক্রম এস্থবির হয়ে পড়েছে।
Leave a Reply