1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জিয়া পরিবার থেকে নির্বাচনের দাবি যুবদল নেতা পলাশের রৌমারীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ রাজারহাটে জাতীয় বিজ্ঞান মেলার উদ্ধোধন ফুলবাড়ীর অপহৃত মেয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার, গ্রেফতার- ২ কুড়িগ্রামে আ.লীগের দুই নেতা গ্রেফতার কোনো ধরনের শত্রুতা কারও পক্ষে ভালো নয়: বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধান এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে নির্দেশনা ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে রাজারহাটের একজন গ্রেফতার  ফুলবাড়ীতে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার কুড়িগ্রামে চর উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় চাই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত

‘রহস্যময়’ রোগে আক্রান্ত উগান্ডার শত শত নারী, আতঙ্ক

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রহস্যময় রোগে আতঙ্কিত পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। দেশটির শত শত নারী ও কিশোরীরাই মূলত আক্রান্ত হচ্ছেন অজানা এই রোগের সংক্রমণে। করোনা মহামারির পর থেকে নতুন রোগের কথা ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন বিশ্ববাসী।

উগান্ডার একটি জেলা বুন্ডিবুগিওতে দেখা দিয়েছে এমনই একটি সংক্রমণ। সোয়াহিলি ভাষায় যার নাম ডিঙ্গা ডিঙ্গা। যেমন অদ্ভুত নাম এই রোগটির, তেমনই অদ্ভুত এর উপসর্গ। উগান্ডার স্থানীয় ভাষায় ডিঙ্গা ডিঙ্গা নামের অর্থ ‘নাচের মতো কাঁপুনি’। যারা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের শরীরে দেখা দিচ্ছে ভয়াবহ কাঁপুনি, যা নিয়ন্ত্রণ করা কার্যত কঠিন হয়ে পড়েছে। ডিঙ্গা ডিঙ্গার লক্ষণগুলো উদ্বেগজনক ও একইসঙ্গে বেশ অস্বাভাবিকও।

আক্রান্তদের জ্বর, কাঁপুনি, দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। হাঁটাচলা করতে সমস্যা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পঙ্গুও হয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড-১৯, ম্যালেরিয়া বা হামের মতো শ্বাসযন্ত্রের প্যাথোজেনগুলো এই অসুস্থতার জন্য দায়ী কি না তা জানতে উগান্ডার স্বাস্থ্য দফতর গবেষণা চালাচ্ছে। পরীক্ষার ফলাফল এখনও হাতে না আসায় রোগের উৎস বা কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

উগান্ডার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে প্রথমবার ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ রোগের কথা প্রকাশ্যে আসে। যারা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ও জ্বরের ওষুধ দিয়েই আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছেন স্থানীয় চিকিৎসকেরা।

দেশটির অধিবাসীদের অনেকেই ভেষজ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করছেন। জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কিয়িতা ক্রিস্টোফার জানিয়েছেন, কোনো ভেষজ ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তাই তিনি স্থানীয় অধিবাসীদের জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে চিকিৎসা করানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

ঠিক কী কারণে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলেই এই রোগ ছড়াচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর। সংক্রমণ রোধে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, আক্রান্তদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এড়িয়ে চলা ও নতুন কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত জেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে খবর দিতে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

রোগীদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আপাতত বুন্ডিবুগিও জেলার বাইরে সংক্রমণ ছড়ায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ক্রিস্টোফার।

হঠাৎ কোথা থেকে এই রোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল সে সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে একই উপসর্গ সমেত কয়েক শতাব্দী পুরনো একটি রোগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

রোগের ইতিহাস ঘেঁটে যে রোগটির সঙ্গে ডিঙ্গা ডিঙ্গার সাদৃশ্য পাওয়া গিয়েছে তা হলো ‘ড্যান্সিং প্লেগ’। ১৫১৮ সালে ফ্রান্সে স্ট্রাসবর্গে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই রোগে আক্রান্তরা টানা কয়েক দিন ধরে সর্বক্ষণ নেচে যেতেন। কোনোভাবেই এই নাচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল না। একইসঙ্গে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা যেত। একটানা নাচের ফলে ক্লান্তি, এমনকি মৃত্যুও ঘটেছিল। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে ডিঙ্গা ডিঙ্গার কোনও সরাসরি যোগসূত্র নেই। আপাতত সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সাধারণত রোগীরা এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে উগান্ডার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে।

আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের দেশ কঙ্গোতে আর একটি অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সেখানকার পাঞ্জি অঞ্চলে অজানা সংক্রমণে ৩৯৪ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই রোগ ছড়ানোর খবরে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। হু জানিয়েছে, এই রোগে ৩০ জন মারা গিয়েছেন। কঙ্গোতে যে সংক্রমণ হয়েছে তার আক্রান্তদের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, সর্দি এবং শরীরে ব্যথা। দুই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে উগান্ডার স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Kurigram Songbad © 2024. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!