কুড়িগ্রাম সংবাদ ডেস্ক:
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে দীর্ঘ ২১ বছর পর ডাকাতির ঘটনা ঘটল। শনিবার সকালে চিলমারী- রৌমারী উপজেলায় নদের মাঝপথে দুইশ বিঘা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন সকাল সাড়ে আট টার দিকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রৌমারী থেকে রওনা দেয় একটি নৌকা। দুইশ বিঘা নামক নির্জন স্থানে পৌঁছালে নৌকায় ডাকাতরা হানা দেয়। এসময় যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় যাকাতরা।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা সেতুর পূর্বপাড়ে ফজলুল করীম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেই উপলক্ষে রৌমারীর চরমোনাই অনুসারীরা ইজতেমার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
দুইশ বিঘায় পৌঁছালে প্রায় ২০ থেকে ২২ জন মুখোশধারী ডাকাতদল নৌকায় অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা নৌকার যাত্রীদে মারধর করে মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। পরে সবার কাছে থাকা নগদ টাকা ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় নৌকায় থাকা বেশিরভাগ যাত্রী মারধরের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়। তবে নৌকাতে থাকা উপজেলার পুরারচর গ্রামের ময়েজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী কাছে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
নৌকার মাঝি আবু তালেব বলেন, ‘আমরা রৌমারী থেকে ইজতেমার উদ্দেশে রওনা দেই। হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ২২ জনের মতো ডাকাতের দল এসে আমাদের ভয়ভীতি দেখায় ও মারধর করে। ভয়ে যা বলছে তাই শুনতে বাধ্য হয়েছি। ২০০২-২০০৩ সালের পর প্রথম ডাকাতির ঘটনা ঘটল বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ী ময়েজ উদ্দিন জানান, একদল ডাকাত নৌকার কাছে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। বলে যার কাছে যা আছে দিয়ে দাও ঝামেলা করলে নদীতে ফেলে দেব। পরে আমার কাছে থাকা এক লাখ ৮০হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন জীবনের ভয়ে দিয়ে দেই।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, ‘ডাকাতির ঘটনা শুনেছি। তবে ঘটনাটি আমার এরিয়ার মধ্যে নয়। তাই কিছু করা সম্ভব হয়নি।’
Leave a Reply