1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
২৬ মার্চ দেশে ফিরতে চান আওয়ামী লীগের নেতারা: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাঁধন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের নেতৃত্বে মামুন-আবু সাঈদ কে এম সফিউল্লাহ আর নেই কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত ইবির এএনএফটি সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন রাজিবপুরে প্রশাসনের সহায়তায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ তিস্তার ন্যায্য হিস্যার পানি ও মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে দুলুর ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচি ঘোষনা  ইশতিয়াক-রাব্বীর নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন রৌমারীতে সরকারি বই চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন রৌমারী থেকে বিনামূল্যে সরকারি বই পাচার চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ৩

নগদে জালিয়াতি: ২৪৭৮১ পরিবেশক, এজেন্ট ও কর্মকর্তা বরখাস্ত

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারী (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ লিমিটেডর’ ওপর বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়েছে।

যার ফলে হিসাব মিলছে না ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে নগদ লিমিটেডের ৪১ পরিবেশক, ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্ট ও ৬৪৩ জন বিক্রয় কর্মকর্তাকে।

প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া পরিবেশকের মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এবং ব্যাংকে জমা টাকার অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি তৈরি করেছে।

এটাকে ডিজিটাল জালিয়াতি বলা হলেও এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। কারণ, মামলা কে করবে তা নিয়ে এক মাস ধরে ডাক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে নগদ লিমিটেডের ৪১ পরিবেশক ও ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্টকে বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক। পাশাপাশি ৬৪৩ জন বিক্রয় কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষপর্যায়ের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডাক অধিদপ্তরের কাছে সুপারিশ করেছেন নগদের প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নগদ লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ এই এমএফএস সেবার উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এটির পরিচালনায় প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। ফলে হিসাব খোলা থেকে শুরু করে সরকারি ভাতা বিতরণে একচ্ছত্র সুবিধা পায় নগদ। ফলে বড় ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক বসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর প্রশাসক দলের পরিদর্শনে বড় ধরনের ডিজিটাল আর্থিক জালিয়াতি ধরা পড়ে। সে জন্য গত ১৮ নভেম্বর আইনি ব্যবস্থা নিতে ডাক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেন প্রশাসক। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইতোমধ্যে এ বিষষে একাধিক সভাও হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘আমরা নগদের ঘটনা সম্পর্কে অবগত। এ ঘটনায় কে মামলা করবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ডাক অধিদপ্তরের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আইনজীবীর মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপরই সিদ্ধান্ত হবে।’

নগদের নথিপত্র পর্যালোচনায় উঠে আসে, কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই নগদে ৪১ পরিবেশকের মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। মূলত ই-মানির বিপরীতে নগদ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এ ডিজিটাল আর্থিক জালিয়াতির ঘটনায় ৪১ পরিবেশকের পাশাপাশি ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্টকে বরখাস্ত করে নগদে নিযুক্ত প্রশাসক। ৩ হাজার ৮৩১টি মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট বা ব্যবসায়িক হিসাব বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া নগদের ৬৪৩ জন বিক্রয় কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!