ধর্ম ডেস্ক:
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ভালো কাজগুলোকে আঁকড়ে ধরা। হাদিস শরিফে একাধিক উত্তম কাজের পরিচয় দিয়েছেন প্রিয়নবী (স.)। একটি হলো মানুষকে খাওয়ানো।
এ সম্পর্কে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে জিজ্ঞেস করল- أَيُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ ‘ইসলামে কোন জিনিসটি উত্তম?’ রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন- تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ ‘তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে।’ (সহিহ বুখারি: ১২)
উল্লেখিত হাদিসে দেখা যাচ্ছে, মানুষকে খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেওয়াও উত্তম কাজ। এ দুই কাজের ফজিলত নিয়ে আরও অনেক হাদিস রয়েছে। এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার করো, (ক্ষুধার্তকে) খাবার দান করো, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখো এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামাজ পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি: ২৪৮৫; ইবনে মাজাহ: ১৩৩৪-৩২৫১; দারেমি: ১৪৬০)
অন্য হাদিসে দীর্ঘক্ষণ নামাজ পড়াকে সর্বোত্তম আমল বলা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হুবশি আল-খাসআমি (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (স.)-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা।..’ (আবু দাউদ: ১৪৪৯)
অন্যত্র সর্বোত্তম কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে নবীজি বলেছেন, ‘যথাসময়ে নামাজ আদায় করা, মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, অতঃপর আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।’ (বুখারি: ৭৫৩৪)
এছাড়াও সংশয়মুক্ত ঈমান, খেয়ানতবিহীন জিহাদ এবং পাপমুক্ত হজকে সবচেয়ে উত্তম কাজ বলেছেন নবীজি। (নাসায়ি: ২৫২৬)
সর্বোত্তম মানুষ হিসেবে অনেককে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে হাদিসে। যেমন- ১. কোরআনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ২. যে ব্যক্তি পরিবারের কাছে উত্তম ৩. যার চরিত্র সুন্দর ৪. নামাজে বিনয়ী ৫. উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠকারী ৬. যে ব্যক্তি কোরবানি করে ৭. যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে ইত্যাদি ব্যক্তিদের হাদিস শরিফে সর্বোত্তম ব্যক্তি বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত আমলগুলোর ব্যাপারে সচেতনতা দান করুন। আমলগুলো বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Leave a Reply