কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলার শ্রমজীবী মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন ও দরিদ্র বিমোচনে বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলটিকে বেসরকারি করণের কার্যক্রম বন্ধ ও বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণে পুনরায় চালু করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন টেক্সটাইল মিলস্ এর শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ। এসময় কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস্ প্রাইভেট পার্টনারশিপ পলিসি, পিপিপিতে হস্তান্তর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে পুনরায় সরকারিভাবে চালুর দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সভাপতি আব্দুর রহমান, কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস্ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুল বাতেন, সহ-সভাপতি মোঃ রজলুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক নুরজামাল, সদস্য মানিক মিয়া, সাধারণ শ্রমিক মোঃ মজিবর রহমান, আবেদ আলী, আব্দুল মালেক, নজরুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, কুড়িগ্রাম বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি সুবিধা বঞ্চিত জেলা। ১৯৮৬ সালে তৎকালিন সরকার এই অঞ্চলের বেকার সমস্যা দূরীকরণ তথা ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলটি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে নানান টালবাহানা করে চালিয়ে একসময় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সহস্রাধিক শ্রমিক/কর্মচারী বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পুনরায় চালু হলে এ অঞ্চলের হত দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও নদী ভাঙ্গনের শিকার সহায় সম্বলহীন খেটে খাওয়া মানুষের স্থায়ী র্কসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস্ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুল বাতেন অভিযোগ করে বলেন, স্বীয়-স্বার্থ হাছিল করার উদ্দেশ্যে মিলটির উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেয় বিগত আওয়ামীলীগ সরকার। তারা টেক্সটাইল মিলটির সচল মেশিনারিজ সহ অধিকাংশ যন্ত্রাংশ অকেজো হিসাবে বিক্রয় করার সিদ্ধান্তও নেয়, যা এখনো প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া সরকারি এই টেক্সটাইল মিলটিকে বেসরকারি করনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
মানববন্ধন শেষে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, বিটিএমসি কেন্দ্রীয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
Leave a Reply