স্পোর্টস ডেস্ক:
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আপত্তি ছিল ভারতের। এ কারণে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই দাবী জানিয়েছিল
হাইব্রিড মডেলে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের। নানা টালবাহানার পর অবশেষে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই অচলাবস্থা কাটতে চলেছে। ভারতের চাওয়া অনুযায়ী হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমনটাই জানিয়েছে দেশ দুটির গণমাধ্যমে। এছাড়া জানা যায়, আজ আইসিসি সভাপতি জয় শাহ এ প্রসঙ্গে দুই বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
হাইব্রেড মডেল অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানে না গিয়ে তাদের ম্যাচগুলো খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আর এই মডেলের বিনিময়ে পাকিস্তানের দেওয়া শর্তও পূরণ হচ্ছে। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে খেলার পরিবর্তে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে শ্রীলঙ্কায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নিজেদের দলকে পাকিস্তানে না পাঠানো এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ দুবাইয়ে খেলতে চাওয়ার বিনিময়ে পিসিবি পাকিস্তান দলের ভারতে না যাওয়ার যে শর্ত দিয়েছে, ২০২৭ পর্যন্ত তা মেনে নিচ্ছে আইসিসি। ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে।
এই টুর্নামেন্টে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচসহ পাকিস্তানের সব ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে ভারতে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে, এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ম্যাচ আয়োজনের জন্য বিকল্প ভেন্যু নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে। সেই সঙ্গে ২০২৭–৩১ সময়ে পাকিস্তানকে মেয়েদের একটি আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগও দেওয়া হবে। এমনটায় জানায় পাকিস্তান এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে।
তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কিছু ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করার কারণে বিশেষভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবে না পিসিবি। হাইব্রিড মডেলের এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আয়োজক স্বত্ব থাকবে পাকিস্তানেরই। আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের গ্রুপ পর্বের ৩টি ম্যাচ, একটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
আর এক সেমিফাইনালসহ মোট ১০ ম্যাচ আয়োজন করবে পাকিস্তান। অবশ্য ভারত যদি সেমিফাইনালে বা ফাইনালে না ওঠে, সে ক্ষেত্রে এই দুটি ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজিত হতে পারে বলেও আলোচনা রয়েছে।
Leave a Reply