আল আমিন, রৌমারী প্রতিনিধি:
শীতে কাপুনি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার মানুষ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে ঘন মেঘ থাকায় আগামী ২৪ ঘন্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষক, শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছে। এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্র বেশী অনুভুত হয়। শীতে কষ্টে পড়েছে উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষজন।
উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের গাড়ি চালক আমিনুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যায়। গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হইতেছে। তিনি আরো বলেন, গাড়ী চালিয়ে আমার সংসার চলে গাড়ী না চালালে আমার পরিবার সহ সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই আমার শত কষ্টের পরেও পরিবারকে বাচাতে আমার গাড়ী চালাইতে হইতেছে।
চরশৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রাতবাড়ার সাথে সাথে ঘনো কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে আমাদের কাহিল অবস্থা। আমাগরে কেউ দেখতে আসে না।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের নটানপাড়া গ্রামের আজাহার আলী বলেন, আমি বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাতে দেয়া যায় না, এতো ঠান্ডা। তার পরেও হামাগুলার কাজ ছাড়া উপায় নাই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুদ্দিন বলেন, এ বছর শীতের বরাদ্দ হিসাবে ২শ কম্বল পেয়েছি দুই একদিনের মধ্যে তা বিতারণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আগামী ২৪ ঘন্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
Leave a Reply