এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো টাইম ম্যাগাজিনের এই সম্মাননা পাচ্ছি। আমার মনে হয় এবার আসলে বেশি ভালো লেগেছে।’
টাইম ম্যাগাজিনের এডিটর-ইন-চিফ স্যাম জ্যাকবস এনবিসির টুডে শোতে ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্য করেন, ‘ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি, যিনি ভালো কিংবা খারাপ যাই হোক, ২০২৪ সালে সংবাদ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন করেছেন, যিনি আমেরিকান প্রেসিডেন্সিকে নতুন রূপ দিয়েছেন এবং যিনি আমেরিকান রাজনীতিকে নতুন করে সাজাচ্ছেন ‘
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অস্বীকার করা কঠিন যে, যিনি ওভাল অফিসে প্রবেশ করছেন, তিনি সংবাদে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি।’
স্যাম জ্যাকবস বলেন, ম্যাগাজিনের এই সম্মাননা নিয়ে ‘সবসময়ই উত্তপ্ত বিতর্ক রয়েছে। তবে আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে এই বছর বিগত বছরগুলোর চেয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল’।
একাধিক ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ওয়াল স্ট্রিটে ট্রেডিং ডে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ট্রাম্প উপস্থিত থাকবেন।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে টাইম ম্যাগাজিনের ‘বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব’ নির্বাচিত হন ট্রাম্প।
এনবিসির ‘টুডে শো’তে গত মঙ্গলবার সকালে ২০২৪ সালের সেরা ব্যক্তিত্বের জন্য বিবেচিত ১০ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই বছরের পুরস্কারের জন্য অন্য ফাইনালিস্টদের মধ্যে ছিলেন: ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, টেক উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট।
ট্রাম্পের টাইম ম্যাগাজিনের কভারে দেখা যাওয়ার প্রতি আগ্রহ ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু।
তিনি মিথ্যা দাবি করেছিলেন যে, তিনি টাইম কভারে সবচেয়ে বেশি বার স্থান পেয়েছেন। ২০১৭ সালে জানা যায় যে, ট্রাম্পের ছবি সম্বলিত ভুয়া টাইম কভার তার কয়েকটি গলফ ক্লাবে প্রদর্শিত হয়েছিল।
এই পুরস্কারটি ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ট্রাম্পের অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের পরিচায়ক। তিনি চার বছর আগে তার নির্বাচনী পরাজয় মেনে না নিয়ে এক ঘৃণিত সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন, আর এর পরও গত নভেম্বর মাসে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করেছেন।
১৯২৭ সাল থেকে টাইম ম্যাগাজিন প্রতি বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে এমন ব্যক্তিদের এই তালিকায় স্থান দেয়।
Leave a Reply