ইকোনমিক ডেস্ক:
বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও অন্যান্য সদস্যরা ঢাকার তেজগাঁওয়ে ড. ইউনূসের কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেন।
এর আগে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর তৈরি শ্বেতপত্রে বিদেশি বিনিয়োগ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ঋণদাতাদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সহাতার জন্য সুপারিশ করবে সরকারকে।
তিনি আরও জানান, আজ (১ ডিসেম্বর) ড. ইউনূসের কাছে চূড়ান্ত শ্বেতপত্র জমা দেওয়ার পর পরদিন (২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এদিকে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির একটি সূত্র গতকাল (৩০ নভেম্বর) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানায়, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিসহ (এডিপি) বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা ৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৪-২৪ বিলিয়নই (টাকার অঙ্কে প্রায় ১.৬১ লাখ থেকে ২.৮ লাখ কোটি টাকা) রাজনৈতিক চাঁদাবাজি, ঘুষ এবং বাজেট বৃদ্ধিতে হারিয়ে গেছে।
প্রতিবেদনটিতে ২২টি অধ্যায় থাকেব। এতে মূল্যস্ফীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাত, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, পরিসংখ্যানের গুণমান, সরকারি ঋণ, রাজস্ব, ব্যয়, মেগা প্রকল্প, দারিদ্র্য, অসমতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করা হবে।
এর আগে শ্বেতপত্র কমিটি জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থার তথ্য প্রকাশ করেনি; প্রকৃত পরিসংখ্যানের চেয়ে তা কমিয়ে প্রকাশ করেছে বিগত সরকার।
Leave a Reply