মিজানুর রহমান মিজান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ডাকে কৃষক সমাবেশে ভাংচুর ও হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলন করেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তাঞ্চল রৌমারীর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর ভাঙনরোধ, জামালপুর থেকে রৌমারী পর্যন্ত রেল ও গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ, রৌমারী এসসিপোর্টকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তর, হাট ও ঘাট ইজারাদারি প্রথা বাতিল ও স্বাধীন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্ত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শামসুল আলমের সভাপতিত্বে কুষক সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য-নাহিদ হাসান নলেজ।
রৌমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ন্যায়পাল ও শহীদ আবু সাইদের আইনজীবী এ্যাড. রায়হান কবীর অভিযোগ করে বলেন রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে আয়োজিত সভার স্টেজ পুলিশ ও স্থানীয় জামায়াত কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিক সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ একইস্থানের ফাঁকা জায়গায় সমাবেশের চেষ্টা করলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন রৌমারী শাখার সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনুর উপর অতর্কিত হামলা করে স্থানীয় জামায়েত ইসলামী ও ছাত্র শিবির।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথি গণবুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের ট্রাষ্টি নাহিদ হাসান নলেজ বাঁধা দিতে গেলে তার উপর তারা অতর্কিত হামলা করে। হামলায় আমি ও বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন সহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
তিনি অভিযোগে আরো বলেন, আমরা কৃষকদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কৃষক সমসবেশের আয়োজন করেছি। এতে আমরা স্থানীয় জামাত শিবিরের হামলার স্বীকার হয়েছি।
বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের পালিত পুলিশ বাহিনী এখনো সোচ্চার। তারা আমাদের সভা মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে।
গণবুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের ট্রাষ্টি নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, জামাত শিবিরের পরিচয় দিয়ে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশ আমাদের মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা সকল দোষী ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। সেই সাথে রৌমারীর ইউএনও, রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ও সংশ্লিষ্ট সহকারী পুলিশ সুপারের প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে রৌমারী জামায়াতে ইসলামীর আমির হায়দার আলী বলেন, রাষ্ট্র সংষ্কার করবে ইউনূস সরকার, তারা রাষ্ট্র সংস্কারের কে? রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো। তারা রাষ্ট্র সংস্কারের সমাবেশ করবে সেটা আমরা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ জানে না। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইসকনের কর্মকান্ডের কারনে পুলিশ তাদের স্টেজ ভেঙ্গে দিয়েছে বলে শুনেছি। হামলায় জামাত শিবির জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমিও শুনেছি তাদের উপর হামলা হয়েছে তবে তা স্থানীয়রা করেছে। এখানে জামাত শিবির জড়িত নয়।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, আমরা তাদের মঞ্চ ভাঙ্গিনি। এটি সম্পূর্ণ অসত্য। তাদের সমাবেশে লোক ছিলো না তাই ডেকোরেটরের লোকজন স্টেজ ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি তবে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় বিচ্ছিন্নভাবে স্থানীয় লোকজনের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়।
Leave a Reply