1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন শেকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহঃ রাশেদুল ইসলাম বীর প্রতীক তারামন বিবি: জাতীয় গৌরব, কিন্তু যথার্থ সম্মান কি পেয়েছেন? চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার সময় ৬ জেলে আটক যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালানো ইউক্রেনীয় সেনাদের সংখ্যা বাড়ছেই: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ছুটি কাটাতে ইরাকে যাচ্ছেন পশ্চিমা পর্যটকরা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি যত ধরনের দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা আহ্বায়ক কমিটি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণার পরপরই যুগ্ম আহ্বায়ক সহ একাধিক সদস্যের পদত্যাগের ঘোষণা কুড়িগ্রামে চরমোনাই পীরের ইজতেমা ১৯ ডিসেম্বর নভেম্বরে রেমিট্যান্স ১৪ শতাংশ বেড়ে ২.২০ বিলিয়ন ডলার সিভিল সার্ভিসে ‘ক্যাডার’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন

ডিভাইস কি ধূমপান ও জাঙ্ক ফুডের মতো ক্ষতিকর? স্টিভ জবস যাকে বলেছিলেন ‘মনের বাইসাইকেল’!

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফরচুন

৩৩ বছর পেরিয়ে গেছে। স্টিভ জবস একসময় বলেছিলেন, ব্যক্তিগত কম্পিউটার হবে ‘মনের বাইসাইকেল’। বাইসাইকেল চালালে যেভাবে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়, তেমনি কম্পিউটারও মানুষের মানসিক ক্ষমতা বাড়িয়ে চিন্তা ও সমস্যার সমাধান দ্রুত করবে।

কিন্তু সময়ের সাথে সেই কম্পিউটারই এখন যেন এক বেগবান ট্রেনে রূপ নিয়েছে, যার সাথে যোগ হয়েছে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো আধুনিক প্রযুক্তি।

আমেরিকানরা প্রতিদিন গড়ে চার ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে এবং প্রায় অর্ধেক মানুষ নিজেদের ডিভাইসে আসক্ত বলে দাবি করে। ২০২৩ সালের মে মাসে, বিশেষত তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল সতর্কতার কথা জানিয়েছিলেন।

এমন পরিসংখ্যান হয়তো আমাদের সবাইকে অবাক করে, তবে আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসই সবচেয়ে ভালোভাবে জানিয়ে দেয়, আজকের আধুনিক বিশ্বের অত্যাবশ্যকীয় ডিজিটাল ডিভাইস কতটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে আশাবাদের কারণও আছে। ডিভাইসে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আচরণগত অসামঞ্জস্য নতুন কোনো সমস্যা নয়। যেমন নগর বিশেষজ্ঞ ও দার্শনিক পল ভারিলিও বলেছিলেন, ‘ইতিহাসে ঘাঁটলে দেখা যায়, প্রতিটি নতুন আবিষ্কার তার নিজস্ব ঝুঁকি বা সমস্যা নিয়ে আসে। যেমন, যখন মানুষ জাহাজ আবিষ্কার করল, তখন জাহাজডুবির ঝুঁকিও তৈরি হলো।’

আচরণগত অসামঞ্জস্য হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে আমাদের কাজ বা অভ্যাস, আমাদের নিজেদেরই অমঙ্গল বয়ে আনে। ইতিহাসে এর অনেক উদাহরণ দেখা গেছে। যেমন- প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে স্থূলতা বেড়েছে, কিংবা সহজে ঋণ পাওয়ার ফলে অতিরিক্ত খরচ করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

তবে, ধূমপানের ক্ষেত্রে আমেরিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আমাদের আশাবাদী হতে শেখায়। গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ধূমপায়ীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে।

এই পরিবর্তনের পেছনে ছিল জনসচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর আইন প্রণয়ন, সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।

১৯৬৪ সালে সার্জন জেনারেলের প্রতিবেদন ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে মানুষকে সচেতন করে এবং বড় ধরনের স্বাস্থ্য প্রচার শুরু হয়। পাবলিক স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ এবং বিজ্ঞাপন নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর আইন মানুষের অভ্যাস পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। সময়ের সাথে সাথে ধূমপান সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে, যা গণমাধ্যমের পরিবর্তিত চিত্র ও জনমতের পরিবর্তনে সহায়তা করেছে।

একইভাবে, ডিজিটাল আসক্তি মোকাবিলাতেও এমন প্রচেষ্টা কাজে দিতে পারে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গবেষণার ফলে মানুষ এখন বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারছে। এখন দরকার এমন প্রযুক্তির, যা সোশ্যাল মিডিয়ার মতো মনোযোগ দখল না করে বরং তা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

ডিজিটাল আসক্তি মোকাবিলার সবচেয়ে বড় সুবিধা

প্রযুক্তির ওপর মানুষের আসক্তি ও আচরণ নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিই সাহায্য করতে পারে। ডিজিটাল আসক্তির ক্ষেত্রে, প্রযুক্তির মাধ্যমেই এমন পদ্ধতি তৈরি করা যেতে পারে, যা ব্যবহারকারীদের দায়িত্বশীল ব্যবহারে উদুব্ধ করবে। যেমন, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম কমানো বা অবচেতনভাবে স্ক্রলিং বন্ধ করা।

সহজভাবে, এটি এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করার কথা বলছে, যা প্রযুক্তি ব্যবহার করেই, এর ব্যবহারে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করবে। কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই আমরা এই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারব।

এই সমস্যা সমাধানে কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে:

  • উচ্চ-প্রযুক্তি দিয়ে উচ্চ-প্রযুক্তির সমস্যার সমাধান: আমাদের সময়ের সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মনোযোগ রক্ষা করার একটি শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে, যেন এটি শোষণের হাতিয়ার না হয়ে ওঠে।
  • পরিমিত ব্যবহারের প্রচার, নিষেধাজ্ঞা নয়: প্রযুক্তিকে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা অবাস্তব এবং অপ্রয়োজনীয়। বরং এমন পদ্ধতি তৈরি করা উচিত যা প্রযুক্তির উপকারী দিকগুলো রাখে, কিন্তু বিভ্রান্তি দূর করে।
  • উপকারী কনটেন্ট ব্যবহার: দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অপ্রয়োজনীয় স্ক্রলিংয়ের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। আমরা এই পার্থক্য চিহ্নিত করে তা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি, যাতে ডিজিটাল অভ্যাসগুলো আরও অর্থবহ হয়।
  • বিকল্প অভ্যাস গঠন: যখন কেউ স্ক্রল করার প্রলোভনে পড়বেন, তখন তাদের জীবনের আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়া উচিত—যেমন প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো, ভালোবাসা ও সম্পর্কের গভীর আলাপ, কিংবা নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্নের দিকে মনোযোগ দেওয়া। এই অভ্যাসগুলো আমাদের মনোযোগকে আরও কার্যকর এবং উপকারী দিকে পরিচালিত করতে সাহায্য করতে পারে, যা শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য স্ক্রলিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Kurigram Songbad © 2024. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!