আতিকুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
হেমন্তের সকালে ধানের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। হাসি ফুটেছে কৃষান-কৃষানির মুখে এরি সাথে শুরু হয়েছে ধানের নবান্ন উৎসব। ধানের জন্য প্রক্ষাত এই জেলার ঘরে ঘরে বইছে খুশির আমেজ।
ধান কাটার আমেজ কৃষকের ঘরে ঘরে সেই সাথে প্রস্ততি চলছে নবান্ন উৎসবের তাই তো খুশির যেনো শেষ নেই তাদের। এই সময়টাতে গ্রাম বাংলার চিরায়ত উৎসবকে ঘিরে প্রতিটি কৃষক পরিবারেই থাকে নানা আয়োজন। চলে নতুন ধানের চালের পিটা-পুলিসহ বাহারি খাবার তৈরি আয়োজনও।
কৃষকরা বলছেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে আগাম জাতের ধানের। সেই সঙ্গে ধান কাটার পর একই জমিতে আলু, সরিষা, পিঁয়াজ-সহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।
হেমন্তের শুরুতেই পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষক কদিন পরেই নতুন ধানে ভরে যাবে গোলা তাই সপ্নের সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অগ্রহায়ণের শস্যপ্রাপ্তী আনন্দ করে তোলে চাষীদের, তাই নতুন ধানের গ্রাম-বাংলায় শুরু হয় ভিন্ন এক খুশির আবহ। আহারে-বিহারে সেই খুশি বা আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার উৎবই নবান্ন।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবার আমন মৌসুমে ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আমন ধান হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে।
নবান্নের আয়োজনে পাশাপাশি বাংলার গ্রামে বসে মেলাও, মেলার সেই উৎসব ছড়িয়ে পরে হিন্দু,মুসলিম সব ঘরেই। কৃষি প্রধান এই দেশে বাঙালী হিসেবে পালিত হয় এ নবান্ন।
Leave a Reply