স্পোর্টস ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বিসিসিআই এবং পিসিবির স্নায়ুযুদ্ধ চলছে, এখনও সমাধানে পৌছাতে পারেনি আইসিসি। পাকিস্তানে যেয়ে খেলতে সরাসরি না করে ভারত, তাদের থেকে জানানো হয় ম্যাচ যেন নিরপক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করা হয়। এই সমস্যা সমাধান নিয়ে কাল আইসিসি জরুরি সভা ডেকেছে। এদিকে আইসিসি সূত্রে খবর, হাইব্রিড মডেলে রাজি করানোর জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ পিসিবিকে প্রস্তাব দেয়া হবে। এরই মাঝে পাকিস্তানের মাটিতে ভারত না আসায় উল্টো হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পিসিবি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে ‘হাইব্রিড মডেল’ মানতে রাজি নয় তারা। কাল আইসিসির বৈঠকে যেন এই বিষয়ে কোনও আলোচনা না হয়। এ প্রসঙ্গে আজ আইসিসিকে চিঠি লিখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবদনে এমনটাই জানা যায়। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও অনিশ্চিয়তা বাড়ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা কাটাতে কাল আপৎকালীন বৈঠক ডেকেছে আইসিসি। সেখানে পাকিস্তান জোরালো ভাবে ‘হাইব্রিড মডেল’ বিরোধিতা করতে পারে।
পিসিবির এক সূত্র বলেছেন, ‘কয়েক ঘণ্টা আগেই আইসিসিকে সরকারি ভাবে হাইব্রিড মডেলের প্রসঙ্গ না তোলার কথা জানিয়ে দিয়েছে পিসিবি। শুরুর দিকে তারা রাজি ছিল। তবে এ কথাও জানিয়েছিল, যদি এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হয় এবং ভারত পাকিস্তানে না আসে, তা হলে ২০৩১ পর্যন্ত যে কয়টা আইসিসির প্রতিযোগিতা ভারতে আয়োজিত হবে সবকটায় পাকিস্তানের জন্য হাইব্রিড মডেল রাখতে হবে।’
পিসিবি বোর্ডের দাবি, পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার ব্যাপারে ভারত যে নির্দেশিকা দিয়েছে সেটা তারা দেখেনি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সেটি দেখাতেই হয়। পাশাপাশি কারণ ব্যাখ্যা করে জানাতে হয় কেন সেই দেশ খেলতে যাবে না।
এদিকে পাকিস্তানের এমন অবস্থানকে সমর্থন করেছেন সে দেশের সাবেক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘খেলাধুলোর সঙ্গে রাজনীতি মিলিয়ে দিয়ে ক্রিকেট খেলাটাকেই খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়েছে ভারত। হাইব্রিড মডেলের বিরুদ্ধে পিসিবির যে অবস্থান তা আমি সমর্থন করি। ২৬/১১-র পর নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান পাঁচ বার গিয়েছে ভারতে।’
Leave a Reply