অনলাইন ডেস্ক:
জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সহায়তা চাইলে সেটি দেবার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আজ (বুধবার) আদালতটির সিনিয়র ট্রায়াল আইনজীবী এসা মবাই ফাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের ঢাকা সফর শেষে সিনিয়র ট্রায়াল আইনজীবী এসা মবাই ওই সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, “যদি কোনও দেশ চায়- তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ বা দিকনির্দেশনা দিতে সবসময় প্রস্তুত আছে। আদালতের প্রধান কৌঁসুলি বাংলাদেশের কাছ থেকে অনেক সহায়তা পেয়েছেন। বাংলাদেশ সহায়তা না করলে, আমাদের পক্ষে এখানে কাজ করা দুরূহ ছিল। অবশ্যই বাংলাদেশ যদি অনুরোধ করে, তবে প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয় সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে।”
মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিং আং হ্লাইং এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য আজ আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “তদন্ত কার্যক্রমে ভিত্তিতে আরও গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য আবেদন আরও হবে।”
গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করার পরে বিচারক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিচারকের সিদ্ধান্ত পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা নেই। তবে আবেদন করার পরে সাধারণত ছয় মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।
কোর্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করবে কি-না জানতে চাইলে এসা মবাই ওই জানান, “যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আবেদন করা হয়। প্রধান কৌঁশুলির অফিস থেকে আবেদন করা হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না হওয়াটা অস্বাভাবিক।”
অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে এখন পর্যন্ত কোনও মামলা হয় না আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে এই তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা না হয়, তবে বিচার কাজ শুরু হয় না আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে। তবে বিচারক যদি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয় এবং বলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, সেটিও অত্যন্ত শক্তিশালী।”
সাধারণভাবে বলা যায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এ ধরনের ভালো অবস্থা সবসময় পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।
Leave a Reply