আতিকুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি:
কয়েকদিন আগে হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছিল মহাসড়কে কোন ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালাতে পারবে না । আবার গতকাল রাতে তাঁরা নির্দেশ দেয় যে এখন চলাচল করতে পারবে কিন্তু আগামী দুই মাস পরে আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে পারে।
আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় ভুরুঙ্গামারী বাস স্ট্যান্ডে ‘রাষ্ট্র সংষ্কার শ্রমিক আন্দোলন’ ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সকল অটো চালক,অটোরিক্সা চালক,ভ্যান চালকেরা যোগ দেন। তাঁরা প্রথমে কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পরে রাস্তার মাঝে সবাই সম্বলিত হয়ে তাদের দাবি জানাতে থাকে।
মিন্টু মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ‘রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলনের’ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাংগঠনিক সমন্বয়ক- আরিফুল ইসলাম জুয়েল,নাগেশ্বরী উপজেলার প্রচর সমন্বয়ক- লাভলু মিয়া,শামীম ইসলাম প্রমুখ।
অটো রিক্সা চালকেরা বলেন, আমাদের এই অটো যদি বন্ধ হয়ে যায় আমরা রাস্তায় বসব। আমরা কিভাবে সংসার চালাবো! আমাদের সন্তানদের লেখা-পড়া করাতে পারবো না। এটা বন্ধ হলে দেখা যাবে আমাদের দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে। এটা বন্ধ না করে কিভাবে এটা সমাধান করা যায় সেই পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, তাঁরা প্রথমেই সরকারকে প্রশ্ন করেন! সরকার কি দেশ থেকে বেকারত্ব কমাতে চায় কিনা? দেশে এখন দেখা যায় এই ব্যাটারি চালিত রিক্সার কারণে অনেক বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হয়েছে। রিক্সা যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এরা কি করে খাবে?
সরকার যদি বলে আমি এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিব এবং এদের রিক্সা সরকার কিনে নিবে তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নাই।
আর যদি বন্ধ করতেই হয় তাহলে যেখানে এগুলো তৈরি হয় সেই কারখানা বন্ধ করুন।
তারা আরো বলেন, এখন যদি রিক্সাগুলো বন্ধ করে দেয় তাহলে তো এই রিক্সাগুলো আর কোন কাজে লাগবে না। দেখা যায় কেউ ৩লাখ, কেউ ২লাখ আবার কেউ ১লাখ টাকা খরচ করে রিক্সাগুলো তৈরি করেছে তাদের কি হবে? যেই টাকা দিয়ে রিক্সা তৈরি করেছে দেখা যায় অধিকাংশই ঋণ করে কিনেছে তাদের কি হবে? বন্ধ করার আগে সরকারকে এগুলো বিষয়ে ভাবতে হবে।
বক্তাদের বক্তব্যের পরে সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্য দিয়ে বলেন, আমাদের ছেলেরা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছি শুধু দেশটাকে সংষ্কার করার জন্য। যদি দেশ সংষ্কার না হয় তাহলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা রক্ত দিলো কেন?
Leave a Reply