এক্সপোতে আসা দর্শনার্থীরা মেশিনটি ব্যবহার করে দেখার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া ভবিষ্যতে যন্ত্রটির একটি ঘরোয়া সংস্করণ বাজারে আনার পরিকল্পনাও রয়েছে সায়েন্স কোংয়ের।
কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ইয়াসুয়াকি আয়োমা বলেন, ‘আমরা মেশিনটির ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। এক্সপোর সময় প্রায় ১ হাজার দর্শককে এটি ব্যবহার করে দেখার সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পন আছে আমাদের।’
প্রতিদিন সাত থেকে আটজন মানুষ এই মেশিনে শরীর ‘ধোয়া ও শুকানোর’ অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন বলে জানান আয়োমা।
কোম্পানিটি তাদের ওয়েবসাইটের একটি বিশেষ পেজে রিজার্ভেশন নিচ্ছে।
মানুষ ধোয়ার যন্ত্রের আকৃতি অনেকটা ফাইটার জেট বিমানের ককপিটের মতো। এতে স্বচ্ছ একটি ঢাকনা রয়েছে, যা পেছনের দিকে খোলা যায়।
কোনো ব্যক্তি গোসল করার জন্য যন্ত্রটির মাঝখানে বসলে এটি পানি দিয়ে ভরে ওঠে। সিটে বসানো সেন্সর ব্যবহারকারীর পালস ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে গোসলের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ঠিক করে।
এছাড়া ব্যবহারকারী শান্ত আছেন নাকি অস্থির, তা-ও শনাক্ত করা হয় এআই প্রযুক্তির সাহায্যে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর মানসিক অবস্থার ভিত্তিতে মেসিনের স্বচ্ছ ঢাকনার ভেওত্রে বিভিন্ন ছবি দেখায়, যা তার জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
একজন মানুষের গোসল করা ও গা শুকানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগে ১৫ মিনিট।
১৯৭০ সালের এক্সপোতে সানিয়ো ইলেকট্রিকের তৈরি যন্ত্রটির নাম ছিল ‘আল্ট্রাসনিক বাথ’। ওই যন্ত্রে ব্যবহারকারী ডিম্বাকৃতির একটি টাবে বসতেন। টাবটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গরম পানি এবং আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গ দিয়ে ভরে যেত। যন্ত্রটি একটি প্লাস্টিক বল ছাড়ত, যা ব্যবহারকারী গা ম্যাসাজ করে দিত।
Leave a Reply