অনলাইন ডেস্ক:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সব সরকারি নির্মাণকাজে পোড়ানো ইটের ব্যবহার বন্ধ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারি দপ্তরগুলোতে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, নির্মাণকাজে পোড়ানো ইট ব্যবহার না করতে। সরকার নিজেই ইটের সবচেয়ে বড় গ্রাহক, যেহেতু রাস্তাঘাট ও ভবন নির্মাণে ইটের ব্যবহার হয়। বিশেষত বড় প্রকল্পগুলোর জন্য ইট ব্যবহার করা হয়।’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান। উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারকে পোড়ানো ইটের বিকল্প খুঁজতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট চাহিদা জানানো হলে এর সমাধান সম্ভব। কারণ, ইটভাটা পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। এ বিষয়ে সরকার দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, দেশে নতুন ইটভাটার জন্য কোনো ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন ৩৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। অন্যদিকে, যেসব ইটভাটা অবৈধভাবে স্থাপিত, সেগুলো জনস্বার্থে স্থানান্তর করা হবে। তবে ব্লক ইট তৈরির ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দিতে প্রস্তুত।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে পরিচালিত ইটভাটাগুলোর বিষয়ে আপাতত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না, কারণ অনেকেই এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করেছেন। তবে, এসব ইটভাটার মালিকদের নিয়ম মেনে কার্যক্রম চালানোর জন্য কমিটি গঠন করে সতর্ক করা হয়েছে। নির্ধারিত এলাকা এবং কমিটি যদি পরিদর্শনের সময় কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়, তাহলে এসব ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হবে।’
Leave a Reply