1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
পাকিস্তানে সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেতে দেবে না ভারত: বললেন ভারতীয় মন্ত্রী রৌমারীতে পরকীয়ার অভিযোগে পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার ছাত্র মজলিসের রাজশাহী বিভাগীয় জোনাল কর্মশালা অনুষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম শুরু ২৭ এপ্রিল রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত; ৬ বিভাগের জন্য নিতে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা লিবিয়ায় বন্দিজীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা: কুড়িগ্রামের ইয়াকুবের বর্ণনা ইসরায়েলের বর্বরোচিত যুদ্ধের অবসান হোক বাংলাদেশে বড় আকারে লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা: বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ বিদেশে বাংলাদেশিদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়,চক্রের মূলহোতা জাহিদ গ্রেফতার বেরোবিতে গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন: উপস্থিতি প্রায় ৯৬%

ইলন মাস্ক যে কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জার!

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

এলেক্স ফিলিপ্স ও বেন চু, বিবিসি নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি-এর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মাস্ক এবং সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিবেক রামাস্বামী একযোগে সরকারি আমলাতন্ত্র ভাঙার, অতিরিক্ত নিয়মকানুন ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর এবং ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো পুনর্গঠনের মতো পদক্ষেপ নেবেন।

ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দীর্ঘদিন ধরে আমলাতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নেওয়া মাস্কের জন্য এটি এক প্রতীক্ষিত সুযোগ। তবে এই পদে থাকাকালীন তিনি নীতি নির্ধারণ ও বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক বিষয়েও প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন, যা তার নিজস্ব ব্যবসায়িক পরিবেশকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অক্টোবরে ট্রাম্পের একটি সমাবেশে মাস্ক বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট থেকে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ কমানো সম্ভব। অন্যদিকে রামাস্বামী কয়েকটি প্রধান ফেডারেল সংস্থা যেমন শিক্ষা দপ্তর, নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি কমিশন, এবং এফবিআই বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন।

নিয়ম-কানুনের বিরোধিতায় মাস্কের দৃঢ় অবস্থান

সরকারি কার্যকারিতা বাড়ানোর পরিকল্পনায় ইলন মাস্ক বারবার প্রশাসনিক আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে প্রশাসনিক জটিলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। তার মতে, এই নতুন দক্ষতা বিভাগ গঠনই পৃথিবীর বাইরে জীবন বিস্তারের একমাত্র উপায়।

তবে সরকারি সংস্থাগুলোর বড় আকারের কাটছাঁট তার ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানই মার্কিন সরকারের সাথে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি চুক্তিতে আবদ্ধ। এদিকে, তার বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলা বিভিন্ন সরকারি সংস্থার তদন্তের মুখোমুখি। তার ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়মকানুন কমানোর চেষ্টা এসব তদন্তের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

ইসরায়েলের মালিকানাধীন আমোস-১৭ কমার্শিয়াল কমিউনিকেশনস স্যাটেলাইট বহনকারী একটি স্পেসএক্স ফ্যালকন-৯ রকেট লিফট অফ করছে। ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি মাস্ক নিয়ন্ত্রকদের অপ্রয়োজনীয় তদন্তের অভিযোগ তুলে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেন। স্পেসএক্সের লাইসেন্স লঙ্ঘনের জন্য আরোপিত ৬ লাখ ৩৩ হাজার ডলারের জরিমানাকে তিনি ‘নিয়ন্ত্রকদের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

মাস্কের এই অবস্থান সম্পর্কে অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ফেলপ্স বলেন, ‘মাস্ক যেসব নিয়ন্ত্রণ কমানোর কথা বলছেন, তা থেকে তার ব্যক্তিগত লাভ হতে পারে। একজন ধনী ব্যবসায়ীকে এমন একটি প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।’

ইলন মাস্কের বাজেট কাটছাঁটের পরিকল্পনা: বাস্তবতা কী?

ইউএস ট্রেজারি কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার মোট ৬ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত ২ ট্রিলিয়ন ডলার কাটছাঁট হলে, তা হবে মোট খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ—যা অনেক দেশের জাতীয় খরচের সমান।

কিন্তু, প্রশ্ন হলো—এমন একটি বড় কাটছাঁট বাস্তবায়ন করা কতটুকু সম্ভব?

এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য, প্রথমে মোট খরচের বিশ্লেষণ করা জরুরি।

মোট খরচের মধ্যে প্রায় ৮৮০ বিলিয়ন ডলার (১৩ শতাংশ) যায় জাতীয় ঋণের সুদ পরিশোধে, অর্থাৎ এই ব্যয়টি কমানো সম্ভব নয়, কারণ এতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার খেলাপি ঋণের বোঝা হয়ে যেতে পারে।

আরো প্রায় ১ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ডলার (২২ শতাংশ) যায় সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্থাৎ, আমেরিকান নাগরিকদের পেনশনে, যা বাধ্যতামূলক খরচ হিসেবে চিহ্নিত, এবং আইন অনুযায়ী এটি ওই সব নাগরিকদের জন্য ব্যয় করতে হয়।

আরেকটি বড় বাধ্যতামূলক খরচ হলো মেডিকেয়ার—যা প্রধানত ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আমেরিকানদের জন্য সরকার-প্রাপ্ত স্বাস্থ্য বীমা।

যাকে বলা হয় ‘ডিসক্রেশনারি’ খরচ—যা আইন অনুযায়ী স্থায়ীভাবে নির্ধারিত নয়, বরং প্রতি বছর কংগ্রেস সদস্যদের ভোটে অনুমোদিত হয়—তাতে রয়েছে প্রতিরক্ষা (৮৭৪ বিলিয়ন ডলার, ১৩ শতাংশ), পরিবহণ (১৩৭ বিলিয়ন ডলার, ২ শতাংশ) এবং শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সেবা (৩০৫ বিলিয়ন ডলার, ৫ শতাংশ)।

মোট ডিসক্রেশনারি খরচ ২০২৩ অর্থবছরে ২৫ শতাংশের কাছাকাছি ছিল, যার অধিকাংশই প্রতিরক্ষা খাতে খরচ হয়েছে।

তত্ত্বগতভাবে, ডিসক্রেশনারি খরচ কাটা আরও সহজ হতে পারে, কারণ এটি আইন দ্বারা বাধ্যতামূলক নয় এবং প্রতিবছর কংগ্রেসের অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মাস্ক এবং বিবেক রামাস্বামী সরকারের আমলাতন্ত্র ভাঙার, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ কমানোর এবং সরকারি সংস্থাগুলোর পুনর্গঠন করার মাধ্যমে এই সাশ্রয় অর্জন করবেন। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে, একটি সাক্ষাৎকারে, মাস্ক দাবি করেছিলেন যে, টুইটার (বর্তমানে এক্স) কিনে নেওয়ার পর, তিনি টুইটারের কর্মী সংখ্যা ৮ হাজার থেকে ১,৫০০-এ নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

তবে যদি ২ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের পুরোটা ডিসক্রেশনারি খরচ থেকে আসতে হয়, তাহলে বিশ্লেষকরা হিসেব করছেন যে, আমেরিকান সরকারের সমস্ত দপ্তর—যেমন পরিবহণ, কৃষি, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি—সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। ২০২৩ সালে ডিসক্রেশনারি খরচের মোট পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার।

মাস্ক স্পষ্টভাবে বলেননি যে, তিনি এক বছরে এই ২ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করবেন, নাকি এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হবে। তবে অনেক মার্কিন অর্থনীতিবিদ, যারা সরকারের খরচ কমানোর পক্ষে, তারা এই পরিমাণ সাশ্রয় করতে পারবেন না এমনটিই মনে করছেন, বিশেষ করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বা জনসমক্ষে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে।

২০২২ সালে, রিপাবলিকানরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর, তারা সরকারি খরচে মাত্র ১৩০ বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট করার একটি আইন পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেটি নিজেই বিরোধী পক্ষের কাছ থেকে ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়।

মাস্ক স্পষ্ট করেননি, তিনি এক বছরে এই সাশ্রয় করবেন, নাকি ধীরে ধীরে করবেন। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এত বড় কাটছাঁট করা কঠিন হবে, কারণ এতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হবে এবং জনগণের বিরোধিতা বাড়বে।

২০২২ সালে রিপাবলিকানরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে আসার পর, তারা মাত্র ১৩০ বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট করার পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

এছাড়া, ট্রাম্প সোশ্যাল সিকিউরিটি থেকে ট্যাক্স কমানোর কথা বলেছিলেন, এবং প্রতিরক্ষায় খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।

২০২৪ সালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের মোট ব্যয় দেশের মোট অর্থনীতির ২৩ শতাংশ ছিল, যা অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম।

তবে, অনেক সরকারি খরচ, বিশেষত স্কুলের খরচ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল স্তরের পরিবর্তে স্থানীয় রাজ্যগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়, এবং রাজ্যগুলি স্থানীয় বিক্রয় কর ও সম্পত্তি কর থেকে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।

আনুগত্যের পুরস্কার

বিশাল সম্পদের মালিক হলেও ইলন মাস্ক বহু বছর রাজনীতিতে বড় কোনো ভূমিকা পালন করেননি। ফোর্বসের হিসাবে তার সম্পদের পরিমাণ এখন ৩০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

তবে ২০২০ সালে মহামারি চলাকালে লকডাউনের বিরোধিতা করে মুখ খোলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে হোয়াইট হাউস থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি সম্মেলনে টেসলাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বাইডেন প্রশাসনের প্রতি তার সমালোচনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

এ বছর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য সমর্থন আদায়ে অর্থ ও সময় দুটোই বিনিয়োগ করেছেন টেসলা সিইও ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের হয়ে যোগ দিয়েছেন নির্বাচনী সমাবেশে, তার প্রচারণা তহবিলেও ঢেলেছেন অঢেল অর্থ—প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার।

অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ফেলপ্স মাস্ক ও ট্রাম্পের সম্পর্ককে ‘লেনদেনমূলক’ বলে অভিহিত করে বলেন, এই নতুন ভূমিকা মাস্ককে প্রতীকী ক্ষমতা প্রদান করে, যা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করতে পারে।

‘ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনে বিশ্বস্তদের নিয়েই ঘিরে থাকতে চান এবং ট্রাম্পের প্রতি মাস্কের মতো বিশ্বস্ত আর কেউ নেই,’ বলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইউএস পলিটিক্স সেন্টারের পরিচালক থমাস গিফট।

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রচারণায় ব্যক্তিগতভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি, মাস্ক এখন প্রযুক্তি নীতি থেকে শুরু করে ইউক্রেনের যুদ্ধ পর্যন্ত নানা বিষয়ে বিশ্বস্ত পরামর্শদাতায় পরিণত হয়েছেন।’

নির্বাচনের পরপরই ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া এক ফোনকলে মাস্কের অংশগ্রহণকে বিশ্বস্ততার পুরস্কার হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউক্রেন যুদ্ধ ট্রাম্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

‘এটা আসলে বেশ অসাধারণ। সাধারণত, এমনকি বড় দাতারাও এ ধরনের প্রবেশাধিকার পান না’, মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ওয়াডডান।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর


Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!