এনামুল হক সরকার ,রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এজাহার গ্রহণ করে না থানা পুলিশ।তিস্তা টু কুড়িগ্রাম রেলপথের বিশ হাজার ঘনফুট মাটি সরানো ও পনেরশো ফিট রেলপথ দখল করে সুপারি গাছ লাগিয়ে অবৈধভাবে দখল করে ট্রেন চলাচলের সুষ্ঠু পথকে বাধাগ্রস্ত করায় দখলদার আলতাব হোসেনকে আসামি করে থানায় উপস্থিত হয়ে আমি গতবছরের ১৬ নভেম্বর এজাহার দাখিল করলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি রাজারহাট থানা পুলিশ।
থানায় এজাহার দাখিল সময়ে পুলিশ জানায় আপনারা থানায় এজাহার পত্র রেখে যান,আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব-এমন মন্তব্য করেন কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত কানুনগো মঞ্জুরুল হক।
তিনি বলেন, এজাহার দাখিলের কিছু পড়ে রাজারহাট থানার একজন তদন্ত কর্মকর্তা ফোন করে জমি লিজ আছে কি না? জানতে চেয়েছিলেন।পরবর্তীতে থানা পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানা নেই।শুধু রাজারহাট নয় সমগ্র বাংলাদেশে একই অবস্থা চলছে,তবে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পড়ে আর খোঁজ খবর রাখা হয়নি।এছাড়াও রেলওয়ে আরও অনেক জায়গায় ভূমি বেদখল রয়েছে।
১৩ নভেম্বর বুধবার মুঠোফোনে সিংগারডাবড়ীহাট রেলওয়ে স্টেশন এলাকার চায়না বাজার রেলক্রসিং সংলগ্নস্থানে আলতাব হোসেন কর্তৃক রেলপথ দখল ও রেলপথের মাটি কেটে অপসারণ এজাহার সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত কানুনগো মঞ্জুরুল হক প্রতিবেদক’কে এসব কথা বলেন।
রেলওয়ে ভূমি ক্ষতি সাধনকারী আলতাব হোসেন রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবোত্তর গ্রামের(চায়না বাজার)বাসিন্দা মৃত অজর উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে,গত ২০২৩ সনের ১৬ নভেম্বর সকাল দশ ঘটিকায় সিংগারডাবড়ীহাট রেলওয়ে স্টেশন এলাকার তফসিলভু্ক্ত রেলওয়ে ভূমি হতে অবৈধভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর ঘোষণা এবং তথ্য পরিবেশন করিয়া এক্স ভ্যাটর মেশিন দ্বারা ২০ হাজার ৮শত ঘনফুট মাটি কর্তন করিয়া গর্ত সৃষ্টি করিয়া রেল ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করিয়া রেললাইনের ক্ষতি সাধন করিতেছেন।তিনি মিথ্যা প্রচার করিয়াছেন যে,তিনি রেল কর্তৃপক্ষের নিকট হতে উক্ত রেলভূমির লাইসেন্স গ্রহণ করেছেন।অথচ উক্ত অবৈধ দখল সংক্রান্ত বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ হতে কোন প্রকার অনুমোদন পান নাই।তিনি স্থানীয় জনসাধারণকে মিথ্যা প্রচারণা করিয়া ১৫শ ফুট দৈর্ঘ্য রেললাইন উভয় পার্শে সুপারির লাগিয়ে রেলভূমি দখল করে চলছেন যা রেল চলাচলের সুষ্ঠু পথকে বাধাগ্রস্ত করে।এমন কাজ রেল আইনের পরিপন্থী এবং ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইনের ১১,১২ ও ১৩ উপধারা অনুযায়ী শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
Leave a Reply