ইকোনমিক ডেস্ক:
রেগুলেটরি অনুমোদনে দেরি হওয়ায় পাকিস্তান সম্প্রতি ২০ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সিগারেট-রপ্তানি অর্ডারটি সুদানে পাঠানোর সুযোগ হারিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের সিগারেট সরবরাহ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদপত্র প্রফিটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ স্ট্যাটুটরি রেগুলেটরি অর্ডার (এসআরও) সংশোধন করার অনুমোদন দিলেও, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে অর্ডারটি বাতিল হয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর চাপ এবং পাকিস্তানের সিগারেট রপ্তানি নিয়ে তাদের উদ্বেগও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় আরও দেরি ঘটিয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে অবৈধ সিগারেটের বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বৈধ সিগারেট বিক্রিতে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে বৈধ সিগারেট বিক্রি ৮০ কোটি শলাকা কমে ৬৩০ কোটি শলাকায় নেমে এসেছে। একাধিক সিগারেট ব্র্যান্ডের বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এখনকার পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের সিগারেট বাজারে বছরে ৪০০ কোটি রুপি রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারি পদক্ষেপের পরেও, দেশের সিগারেট শিল্পের জন্য বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি এবং শিল্পকে সহায়তা করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বছরের জুনে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির পাকিস্তান শাখা সরকারের কাছে সুদানে ১০ শলাকার প্যাকেট সিগারেট রপ্তানির জন্য আইন পরিবর্তনের আবেদন করে, যা একটি ধূমপান বিরোধী গ্রুপের সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল। পাকিস্তানে ৮০টিরও বেশি দেশে ১০ শলাকার সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ, যেহেতু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছে যে এটি শিশুদের জন্য সিগারেট সস্তা এবং সহজলভ্য করে তোলে। তবে, পিটিসি (পাকিস্তান টোবাকো কোম্পানি) সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে এই নিষেধাজ্ঞা উঠানোর জন্য আবেদন করেছিল, যাতে তারা ছোট প্যাক রপ্তানি করতে পারে।
Leave a Reply