কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস উদ্বোধনের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সেবা পায়নি এলাকাবাসী।
অফিসটি নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত হওয়ার দৃষ্টিগোচরও হয়না সংশ্লিষ্টদের। শুধুমাত্র উর্ধতন কর্মকর্তা আসলেই অফিসে চোখে পরে তহশিলদারের। স্থায়ী এই অফিস সেবা না পেয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার নদী পথে পাড়ি দিয়ে উপজেলা শহরে এসে অস্থায়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিতে হয় সেবা। এতে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে নানা হয়রানির শিকার হন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
জানা যায়, ভূমি অফিসটি ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। তবে এখনো রয়েছে তালাবদ্ধ।
ইউনিয়নটি ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত হওয়ার ফলে এখানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। ইউনিয়নটির আয়তন ৬৬.৫৪ বর্গকিমি (২৫.৬৯ বর্গমাইল), রয়েছে ১০ টি মৌজায় প্রায় ১২ হাজার কৃষক। এই ইউনিয়নের প্রায় সকলেই কৃষি কাজের সঙে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা না দেয়ায় ওই ইউনিয়নের সেবাগ্রহীতারা পরেছেন চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, তিন বছরে শুধুমাত্র উর্ধতন কর্মকর্তা আসলেই তালা খুলে বসেন তহশিলদার। এছাড়া কখনো অফিসে আসেন না। জমির খাজনা খারিজ করতে নদীপথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় উপজেলা সদরে,সেখানে গিয়ে আজ না কাল এভাবে ঘুরতে হয়।
কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ভূমি অফিস তৈরি করে দিলেও কাজে লাগছে না। সবসময় এই ভূমি অফিস তালাবদ্ধ থাকে,ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত এই ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার কৃষক।
জালাল নামে অপর এক কৃষক বলেন, জেলা থেকে যেদিন বড় অফিসার আসে সেদিন কয়েক ঘন্টার জন্য অফিস খোলা থাকে তবে কার্যক্রম বন্ধ থাকে। থানাহাট গিয়ে আমাদের জমাজমির কাগজ পত্র ঠিক করতে হয়, ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।
চিলমারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) জগদীশ চন্দ্র বলেন, আমি নতুন এসেছি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দীন জানান, আমি ওই ইউনিয়নে গিয়েছিলাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙে কথা বলেছি। সপ্তাহে হাটের দিন করে উপজেলায় কাজ করবেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। আর অন্যদিন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কার্যক্রম চলবে।
Leave a Reply