স্পোর্টস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। শুরুতে স্কোয়াডে থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশে আসতে পারেননি। সব মিলিয়ে বেশ বাজে সময় পার করেছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার।
বিদায় টেস্ট খেলতে এসে দুবাই থেকে ফিরে যেতে হয়েছে টাইগার এই অলরাউন্ডারকে। ক্যারিয়ারের শেষ কী এখানেই সাকিবের তা বলা কঠিন। তবে দেশের ইতিহাস সেরা এই ক্রিকেটারের এই অবস্থা মেনে নিতে পারছেন না জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
দেশের ফুটবলের খ্যাতিমান গোলরক্ষক আমিনুল খেলা ছাড়ার পর যোগ দেন রাজনীতিতে। বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লিগ সরকারের ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আমিনুল কিছুতেই চান না, তার সঙ্গে যা হয়েছে সেটা সাকিবের সঙ্গে হোক। আজ রাজধানীর মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আমিনুল বলেন, ‘গত ১৫ বছর বা ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে আমার ওপর মামলা-হামলা, শারিরীক নির্যাতন করেছে, আমি একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে কখনই চাই না সাকিবের মতো বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটুক।’
সাকিব যেহেতু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাংসদ ছিলেন, তার বিরুদ্ধে খুনের মামলাও আছে। তাই বিষয়টিকে আইনের হাতে ছেড়ে দিয়ে ন্যায়বিচার চেয়েছেন আমিনুল। সাকিব আল হাসান অপরাধ করে থাকলে শাস্তি হোক, না করলে মুক্তি পাক। কোন ধরনের হয়রানির শিকার যাতে না হন, এমন মন্তব্য সাফজয়ী সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকের।
তিনি বলেন, ‘এটা আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি। তবে বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। সাকিব আওয়ামী সরকারের ৩০০ সাংসদের একজন ছিলেন। স্বৈরাচারী সরকারের একজন সদস্য হিসেবে তাকে নিয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে। আমি চাই, তার সাথে যেন এমন না হয়। কিন্তু আইন আইনের গতিতে চলবে। আমরা চাই, ন্যায়বিচার হোক।’
Leave a Reply