এর আগে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে ক্বওমিয়া ও দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এই মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রয়াত মওলানা জুবায়ের উল হাসানের সমর্থকরা তাবলিগ জামাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব দিল্লির মওলানা মুহাম্মদ সাদ আল কান্ধলভির বিরুদ্ধে এই মহাসম্মেলন আয়োজন করেছেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামি নেতারা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ইসলামি নীতি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান।
তারা দাবি করেন, বিশ্ব ইজতেমা একবারেই অনুষ্ঠিত হতে হবে, দুই পর্বে নয়।

তারা আরও দাবি করেন, ইজতেমা মাঠ ও কাকরাইল মসজিদকে মূলধারার ইসলামি শিক্ষার বাইরে যারা আছেন, তাদের প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। বিশেষ করে মওলানা সাদ আল কান্ধলভির অনুসারীদের প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি জানান তারা।
বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জমায়েতগুলোর একটি। এটি ২০২৫ সালে আগের বছরের মতোই দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বটি ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে হবে এবং দ্বিতীয় পর্বটি ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বক্তারা আরও বলেন, মানুষ কখনোই কৃত্রিম কিছু গ্রহণ করে না। জালিয়াতি বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। তাবলিগ জামাতের জাল সংস্করণ চলতে পারে না, কারণ তারা পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে গোপন যোগসাজশ রেখে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেছে। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে, কারণ তারা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছেন।

এর আগে হাজার হাজার তাবলিগ জামাত অনুসারী ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে আসতে শুরু করেন। দুপুরের মধ্যে স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি মোড়, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ এবং মৎস্য ভবন অতিথিদের ভিড়ে পূর্ণ হয়ে যায়।
এদিকে, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অতিথিদের নিয়ে আসা দীর্ঘ পাল্লার বাসসহ যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ স্থানীয় এলাকায় গুরুতর যানজট সৃষ্টি করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটায়।
Leave a Reply