রিপন বারী
জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংস্কৃতির চর্চায় আগ্রাসন ও সারাদেশে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি জোট।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর ডিবেট অর্গানাইজেশনের কর্মী ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ‘আমরা চাই শিল্প ও সংস্কৃতির চর্চা স্বাধীনভাবে অব্যাহত থাকুক। একজন সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে আমাকে যেন চিন্তা করতে না হয়, আমি আমার কথা, গান কিংবা বিশ্বাসের কারণে মবের শিকার হব। নতুন এই বাংলাদেশে কেউ মবের শিকার হলে এ গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে।’
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ণা বলেন, ‘শিল্প চর্চা একটি চির চলমান আন্দোলন। একজন শিল্পীর জীবন চলমান আন্দোলনের প্রধান উপাদান। গত ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের সংস্কৃতি কর্মীদের উপর ধারাবাহিকভাবে আঘাত আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর শিল্পকলায় এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সংস্কৃতি চর্চার একটি নিরাপদ ভূমি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাচ্ছে। ইদানীং ছোট কারণ পেলেই দেশীয় সংস্কৃতির উপর একদল ঝাঁপিয়ে পড়ছে। সরকারকে এ সব ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে দেখছি না। দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মেহের আফরোজ শাঁওলি বলেন, ‘মবের নামে যে আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত। নতুন বাংলাদেশে এ রকম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চাইনি। আপনি যদি মঞ্চ নাটক থামান, তাহলে মানুষ পথে নেমে নাটক করবে। সাংস্কৃতিক চর্চাকে কখনও থামানো যাবে না। আমরা চাই, রাষ্ট্র শিগগিরই নাট্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরণ এহসান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে কোথাও যেন শিল্পকর্ম মাঝপথে বন্ধ না হয়। দেশের সংস্কৃতি কর্মীরা আন্দোলনে সক্রিয়। যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করুন, বিচারের মুখোমুখি করুন। কিন্তু মবের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। ফ্যাসিস্টের পতনের পর মবের নামে সারাদেশে ২২টি শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা শিল্প চর্চার নিরাপদ পরিবেশ চাই।’
Leave a Reply