1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ “মার্চ ফর হিউম্যানিটি” শুরু করলেন হানিফ বাংলাদেশী গণশুনানিতে তিস্তা পারের মানুষ: আমরা দল-নেতা বুঝি না, প্রকল্পের বাস্তবায়ন চাই তিস্তা নদী নিয়ে গনশুনানী শেষে রিজওয়ানা হাসান : ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে ডাকাতির সময় এগিয়ে না আসায় এএসআইসহ তিন পুলিশ অবরুদ্ধ, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলছেন ওসি হামজাকে নিয়ে দল ঘোষণা বাংলাদেশের, আছেন সাকিব রৌমারীতে আওয়ামী লীগ নেতা মোগল গ্রেফতার কচুরিপানা: সমস্যা থেকে সম্পদ উলিপুরে রঙ্গিন ফুলকপিতে বাজিমাত কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ পরিদর্শনে অতিরিক্ত সচিব মামুনুল আলম যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আর কোন কোন দেশ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেয়?

উলিপুরে ব্রহ্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙন: বাড়ি-জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত স্থানীয়রা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

জামিউল ইসলাম, উলিপুর প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমলেও তীব্র ভাঙন অব্যাহত থাকায় অসংখ্য পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। গত এক মাস ধরে হবিগঞ্জ থেকে খেয়ারচর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার জুড়ে এ ভাঙনে বিলীন হয়েছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, এমনকি একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রও। এতে করে প্রায় তিনশো পরিবার মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকুও হারিয়েছে।

ভাঙনের ভয়াল থাবায় হুমকির মুখে রয়েছে সাহেবের আলগা এলাকার নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জরুরি স্থাপনা। এসব এলাকা ভাঙনের আশঙ্কায় দিন পার করছে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় জনগণ।

গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন জানায়, “আমাদের এলাকা নদীর ভাঙনে ধ্বংস হয়ে গেছে। এত মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। আমাদের স্কুলও এখন বিপদের মুখে। স্কুল যদি ভেঙে যায়, আমরা কোথায় পড়বো? আমাদের জমি নষ্ট হয়ে গেছে, যা ছিল তাও নদী নিয়ে যাচ্ছে।”

সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন জানান, “ব্রহ্মপুত্রের পানি কমলেও ভাঙন থামছে না। জমি ও বসতবাড়ি সবকিছু নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটের সমাধানে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা আশ্বাস দিলেও এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।”

কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, “ভাঙন প্রতিরোধের জন্য বরাদ্দের অভাবে এখনই স্থায়ী সমাধান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের অভিযোগ, দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে তাদের অবশিষ্ট বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর

Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!